সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর, ২০১৭ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

★প্রপোজ★

- হ্যালো , জেসমিন বলছো ? - হুম , কে বলছো ? –আ…আমি… [তোতলাচ্ছি] -আ..আমি টা কে ? [ওপাশের রাগত গলা ।] – আ…আ…আমি [কথা ভুলে গেছি , দুনিয়াতে এখন একটাই শব্দ মনে আছে ! -ধুরররর [ঐপাশ থেকে মুখ খারাপ করা কিছু গালি ভেসে এলো এবং ট্যাঁ ট্যাঁ করে ফোনটাও কেটে গেলো ।] . . গত একবছরে এটাই আমার গল্প। আমি ভাল থাকার জন্যে ভাল রাখার সিম আর পাশে টানার জন্য পাশে আনার সিম [ অবশ্যি শতাধিক ]  কিনেও কোন সুবিধা করতে পারলাম না! জেসমিন নামের এই ভয়াবহ রাগী মেয়েটাকে কি কারণে এতো ভাল লাগে আমি জানি না , শুধু এটা জানি প্রচন্ড গরমে বা খুব রেগে গেলে যখন ওর গালে আবীর জন্মে আমার ওকে ছুঁয়ে দিতে ইচ্ছা হয়! কিংবা যখন ক্লাসে কারো ব্যাগে তেলাপোকা ছেড়ে দিয়ে কুটনামি করার পরম আনন্দে হাসে তখন ওর কপালের চুল গুলো সরিয়ে দিয়ে ওকে দেখতে ইচ্ছা হয় ! কিন্তু কথা বলতে গেলেই সমস্যা। আমি ছাড়া অন্য শব্দ মাথাতেই আসে না। . শেষ মেষ একবুদ্ধি নিলাম, অবশ্যিই ধার করা , আমি চরম লেভেলের গাধা টাইপ মানুষ, ভালবাসি বলতে একবছর পার করলাম বলতে পারলাম না এসব বুদ্ধি আমার মাথায় আসার প্রশ্ন-ই আসেনা। . পরদিন একটা চটের ব্যাগে একটা আর্টপেপার, একটা ক্যান্ডেল,

☆জীবন সঙ্গী হিসেবে এমন একজনকেই সিলেক্ট করুন। ☆

☆জীবন সঙ্গী হিসেবে এমন একজনকেই সিলেক্ট করুন। ☆ . ☆ যে আপনার বিশ্রী ভয়েস শুনে আপনাকে কখনো বলবেনা মধু খেয়ে তুমার ভয়েস সুইট করো! -বরং এমন কাউকে দরকার যে আপনারে বলবে “তোমার প্রতিটা ভয়েস আমার জীবনের এত্তগুলি ফেভারিট সাউন্ড” ☆ যে আপনার কালো-অগোছালো ফেইস দেখে  আপনাকে প্রেসার করবেনা “তুমি ক্রিম ইউজ করো, ফর্সা হও”/ফেসিয়াল করো। -এমন কাউকে দরকার যে আপনার কালো ফেইসটার দিকে তাকিয়ে পৃথিবী জয় করার মত হাঁসি দিয়ে বলবে “তোমার মত মিষ্টি চেহেরার ছেলে/মেয়ে পৃথিবীতে Only এক পিচ-ই আছে” এমন একটি সঙ্গী ই দরকার… ☆ যে আপনার মোটা সাইজের শরীরের জন্য কখনো আপনাকে প্রেসারক্রেট করে বলবে না “তুমি সিক্স প্যাক”হও।/স্লিম হও। -বরং এমন একজন দরকার যে আপনার সামনে এত্তগুলি চিকেনফ্রাই নিয়ে গিয়ে বলবে “খাও আমার মুটু/মুটি…. আমি সবসময়, সব অবস্থাতে জাস্ট তুমাকেই এত্তগুলি ভালোবাসি” . লিখাঃ Asadur Rahman Hadi.

★খুনশুটি★

- এই রোদের ভেতর দাড়িয়ে থাকার কোন মানে হয় না। - ট্যাক্সি ছাড়া কোথাও যাবো না। - রিক্সাতে কি প্রবলেম? - তোর স্বভাব বুঝি না আমি!!! - আমি আবার কি করলাম রে? - এএএহহ দুধে ধোয়া তুলসি পাতা। কিছুই জানেন না। - তাহমিনা প্লিজ আর দাড়াতে পারছি না। - আচ্ছা যা রিক্সা ডাক। আর শোন এডভান্টেজ নেয়ার চেষ্টাও করবি না! বলে দিলাম। - হুহ.... . - আরও চেপে বস ওই দিকে। - আর জাইগা কই এপাশে? তুই ওদিকে যা... - আদি ভাল হবে না কিন্তু। - কোন পাপ করছিলাম কে জানে, যার জন্য এই মেয়েকে বিয়ে করতে হবে! - ওই কি বললি তুই? - কই না তো কিছু না। - তোকে বিয়ে করতে আমারও বয়ে যায়নি.... আমার তোর থেকে সুন্দর একটা বয় ফ্রেন্ড আছে। তোর মত হাবড়া না। - আস্তে..... এবার থামেন! আমারও জি এফ আছে আর সে তোর থেকে অনেক সুন্দরী। তোর মত পেঁচা না। - কি আমি পেঁচা???? শয়তান, কুত্তা,ছোটলোক, ইতর......(সাথে কিল ফ্রি ) - মুখ দিয়ে বলছিস বল। হাত দিয়ে বলার কি দরকার?? লাগছে.... - মা না বললে জীবনেও আসতাম না তোর সাথে। - ইশশ্ আমি যেন নিজের ইচ্ছায় আসছি! মা জোর করে পাঠাইছেন। বিয়ের আগে একটু চেঞ্জ হওয়া দরকার আমাদের তাই। . কথা হচ্ছিল তাহম

★ভালোবাসা★

হাদী ছেলেটা ক্লাসে ঢুকলেই একটা মিষ্টি গন্ধ পায় সাকি। হালকা মিষ্টি একটা গন্ধ। সবার অলক্ষ্যে লম্বা শ্বাস নেয় সে। আহ! কি দারুন গন্ধ। গন্ধটার জন্যে কতটা পাগল সেদিনই বুঝেছিল সে, যেদিন হাদী ক্লাসে আসেনি। অস্থির লাগছিল তার। ‘ইস! যদি জানতাম কি পারফিউম ইউজ করে ছেলেটা তাহলে একটা কিনে রাখতাম।’ সুযোগটা এসে গেল সাকির। হাদী সহ আরো পাঁচজনের গ্রুপ স্টাডি শুরু হল। একদিন সবার আগে হাদী আর সাকি এসে উপস্থিত। ‘আচ্ছা হাদী তুমি কোন পারফিউমটা ইউজ করো?’ ‘ইয়ে মানে। ঠিক নেই। একেকদিন একেকটা। কেন?’ থতমত খেলো হাদী। আসলে তেমন কোন পারফিউম ব্যবহার করে না সে। ‘না আমার ছোট ভাইয়ের জন্মদিন। ভেবেছিলাম তাকে একটা কিনে দিবো।’ আসল কথা বলল না সাকি। . . ক্লাস থেকে বের হয়েই দৌড়ে হাদী তার এক বন্ধুর কাছে গেল। হাত তুলে বন্ধুর কাছে গিয়ে বলল, ‘দোস্ত দেখ তো আমার গা দিয়ে কোন পারফিউমের গন্ধ আছে নাকি।’ শ্বাস নিয়ে ওয়াক ওয়াক শুরু করলো তার বন্ধু। ‘আছে আছে। পাঁঠার গন্ধের পারফিউম। শালা খবিশ।’ বেকুব হয়ে গেল হাদী, ব্যাপার কি? সাকি মেয়েটা কোত্থেকে গন্ধ পায়? সাকিও বুঝতে পারছে না, হাদী কেন বলছে না সে কি পারফিউম ব্যবহার করে। . . সেদ

☆বন্ধুত্ব ও ভালোবাসা☆

হাদীর সঙ্গে স্পর্শীয়ার পরিচয় সেই কলেজ থেকেই। কলেজের সময়টাতে তারা যে খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল, সেটাও বলা যায় না। ঘনিষ্ঠতাটা একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুবাদেই হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিন অপরিচিত সব মুখের ভিড়ে কলেজের ক্লাসমেট হাদীকে দেখে স্পর্শীয়ার কী ভীষণ আনন্দ লাগছিল, তা স্পর্শীয়ার চেয়ে ভালো কে বা জানে! সেই দিন থেকেই বলতে গেলে হাদী-স্পর্শীয়ার বন্ধুত্বটা শুরু। ক্লাসের ফাঁকে একত্রে ফুচকা খাওয়া, একসঙ্গে বাড়ি ফেরা—এসব তো ছিলোই, স্পর্শীয়ার প্রেমিকের সঙ্গে যখন স্পর্শীয়ার ঝগড়াঝাঁটি হতো, তখন সেই ঝগড়া প্রশমিত করার দায়িত্বও ছিল হাদীর। হাদীর জন্য স্পর্শীয়াও কম করেনি। সেকেন্ড ইয়ারে তারা যখন উঠল, তখন এক জুনিয়র মেয়েকে হাদীর বেশ মনে ধরল। স্পর্শীয়া বেশ চেষ্টা করল হাদীর সঙ্গে মেয়েটাকে মিলিয়ে দেওয়ার। কিন্তু হলো না। স্পর্শীয়া ব্যর্থ হয়েছিল। স্পর্শীয়া সে সময় আরো একটা ব্যাপারে ব্যর্থ হয়েছিল। সে অনেক চেষ্টার পরও নিজের প্রেমটা ধরে রাখতে পারেনি। সেকেন্ড ইয়ারে থাকার সময় স্পর্শীয়ার চার বছরের প্রেমটা ব্রেকআপের দিকে গড়াল। সময়টা স্পর্শীয়ার জন্য মোটেই ভালো ছিল না। সে সময় স্পর্শীয়াকে ভীষণ সাপোর্ট দিয়েছিল হাদী। সব

☆অচেনা অতিথি☆

☆অচেনা অতিথি☆ . : এই যে মিস্টার ? - জ্বি, আমাকে বলছেন? : হ্যা, আশেপাশে আপনি ছাড়া আর কাউকে তো দেখতে পাচ্ছি না। - জ্বি বলুন। : আপনি পাবলিক প্লেসে সিগারেট খাচ্ছেন কেন? - হাহাহাহা : হাসলেন যে? - যাক দেশে তাহলে এখনো ভাল মানুষ আছে? : আপনি পার্কে সিগারেট খাচ্ছেন, আপনি জানেন এইটা অন্যায়? - শিশু পার্কে শিশু তৈরির কারিগররা পার্কে বসে রোমাঞ্চ করছে এটা অন্যায় না..? : ঐটা যার যার পারসোনালিটির উপর নির্ভর করে? - আমার ও পারসোনালিটিতে বলছে পার্কে বসে সিগারেট খেতে...! : শুশিল সমাজ কি এগুলা মেনে নিবে? - এখনো কি আর শুশিল সমাজ আছে নাকি , সবাই তো অশ্লীল। : আপনি কি সিগারেট খাওয়া বন্ধ করবেন। - ১১ টাকা দাম। কেবল অর্ধেক হলো, বাকিটা শেষ করি। আপনি খাবেন নাকি ? : কতবড় সাহস, আপনি আমাকে সিগারেট অফার করেন। আপনি জানেন আমি কে? - খুব মিষ্টি একটা মেয়ে। নামটাও কি মিষ্টি? : জ্বি না, আমিও মোটেও মিষ্টি না। খুব টক। আমার নাম স্পর্শীয়া। - আমার মা বলেছে কখনো কিছু একা খাবি না, অন্যকে শেয়ার করবি। প্যাকেটে আরও আছে, আপনি চাইলে আগুন ছাড়া খেতে পারেন। যাক আপনার নামটাও জানা হয়ে গেলো। বসুন না। : থামবেন আপনি? আপনাদের

♥মাঝি♥

. - এ আদি, যা টেহা উডাই ফেলা। - কাকা তোমারে কত বার কমু আমার নাম হাদী, আদি না। - ধুর বেডা যা তো নাউ ভিড়াইমু টেহা উডা। - হ যাইতাছি..... . এপার আর ওপারের সেতু বন্ধন কারী দুটো নৌকার একটাতে কাজ করে হাদী। আজকে লোক অনেক কম। তাই টাকাও কম। যা হইছে তা থেকে তিন ভাগের এক ভাগ হাদীর। কিন্তু সেটা থেকে আবার অর্ধেক দিতে হয় চেয়ারম্যান এর চামচা গুলারে। না হইলে কাজ করতে দেয় না জানোয়ার গুলা। আজ মাত্র চল্লিশ টাকা নিয়ে ঘরে ফিরছে হাদী। ভাত রান্না করে পিচ্চি বোনকে খাওয়াতে হবে। যদি একটা নৌকা নিজের থাকত তাহলে রোজকারটা বাড়ানো যেত। . - কাকা তোমার নৌকাডা আমার কাছে বিক্রি করবা? প্রহরের পাতানো কাকা শব্দ করে হেসে উঠল। - কেন রে? তুই পিচ্চি মানুষ নৌকা কিনা কি করবি? - কাকা ম্যালা টাহা কামামু। - টাহা দিয়া কি করবি? - শহরে বড় বাড়ি আর বড় গাড়ি কিনমু। এবারও কাকা উচ্চস্বরে হেসে বলল... - এই চিন্তা হইল কবে থেইকা বেডা? - অনেকদিন থেইকা কাকা। আমাগো গেরামের সব পিচ্চি গুলারে আমার বাড়িতে নিয়া যামু। ওগরে আর কাজ করতে দিমু না। - একদিন তুই অনেক বড় হবি রে বেডা.... - কবে কাকা? - ধুর বেডা ওহন কাম কর... . অনেক স্বপ

☆অভিমান☆

- দাঁড়া... - কেন? - দাড়াতে বলছি দাড়া... - মাত্র বসলাম,এখন..... - আদি দাড়াতে বলছি তোকে..... ( একটু ঝাড়ি দিয়ে ) - হুম.... দাড়ালাম! বল..... - এবার দু পা সরে যা.... - ওকে! গেলাম। - এবার বস! - মানে কি? এত দুরে বসে কথা বলব? - হ্যাঁ, ওখান থেকে কথা বলবি... - আমি তোর বয়ফ্রেন্ড না শত্রু রে,? - সুযোগ পেলে বয়ফ্রেন্ড শত্রু হয়ে যায়...... - তুই এমন কেন রে? - খুব খারাপ? - খারাপ বলছি আমি? - তাহলে? - আমরা একটা রিলেশনে আছি। একজন আর একজন কে ভালবাসি। তবে পাশে বসতে কি প্রবলেম আমি বুঝি না! - আমি বুঝিয়ে দিচ্ছি..... আজকে পাশে বসতে দিলে কাল হাত ধরবি,পরশু রিক্সায় ঘুরতে চাইবি,তারপর একটা চুমু তারপর ব্লা.....ব্লা...... ব্লা......... - বুঝলাম..... তবে তুমি করে বলতে কি সমস্যা? - আরে বোকা তুমি থেকেই তো শুরু সব কিছু..... - ফালতু লজিক.... - ওই কি বললি তুই? - নাহ.... কিছু বলিনি তো....!! - মিথ্যা বললি না?? বাই......... - সে কি? তাহমিনা.......... এই তাহমিনা শোন........ ; ধুর রিলেশন না কাচা খেজুর! কোন রস নেই, কষে ভরা..... মেয়েটাকে বুঝিই না। কি যে সব লজিক দেখায়। অদ্ভুত সব। তবে ক্লাসের সব সময়ের