সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

★ভালোবাসা★

হাদী ছেলেটা ক্লাসে ঢুকলেই একটা মিষ্টি গন্ধ পায় সাকি। হালকা মিষ্টি একটা গন্ধ। সবার অলক্ষ্যে লম্বা শ্বাস নেয় সে।
আহ! কি দারুন গন্ধ। গন্ধটার জন্যে কতটা পাগল সেদিনই বুঝেছিল সে, যেদিন হাদী ক্লাসে আসেনি। অস্থির লাগছিল তার।
‘ইস! যদি জানতাম কি পারফিউম ইউজ করে ছেলেটা তাহলে একটা কিনে রাখতাম।’

সুযোগটা এসে গেল সাকির। হাদী সহ আরো পাঁচজনের গ্রুপ স্টাডি শুরু হল।
একদিন সবার আগে হাদী আর সাকি এসে উপস্থিত।
‘আচ্ছা হাদী তুমি কোন পারফিউমটা ইউজ করো?’
‘ইয়ে মানে। ঠিক নেই। একেকদিন একেকটা। কেন?’ থতমত খেলো হাদী। আসলে তেমন কোন পারফিউম ব্যবহার করে না সে।
‘না আমার ছোট ভাইয়ের জন্মদিন। ভেবেছিলাম তাকে একটা কিনে দিবো।’ আসল কথা বলল না সাকি।
.
.
ক্লাস থেকে বের হয়েই দৌড়ে হাদী তার এক বন্ধুর কাছে গেল। হাত তুলে বন্ধুর কাছে গিয়ে বলল,
‘দোস্ত দেখ তো আমার গা দিয়ে কোন পারফিউমের গন্ধ আছে নাকি।’
শ্বাস নিয়ে ওয়াক ওয়াক শুরু করলো তার বন্ধু।
‘আছে আছে। পাঁঠার গন্ধের পারফিউম। শালা খবিশ।’
বেকুব হয়ে গেল হাদী, ব্যাপার কি? সাকি মেয়েটা কোত্থেকে গন্ধ পায়?
সাকিও বুঝতে পারছে না, হাদী কেন বলছে না সে কি পারফিউম ব্যবহার করে।
.
.
সেদিন বিকেলে সাকি শিল্পকলার সামনে দাঁড়িয়ে আছে এক বান্ধবীর অপেক্ষায়। পাশেই ফুটপাথে একতারা বাজিয়ে একটা বাউল গান করছে। তাকে ঘিরে গান শুনছে কিছু ছেলে।

‘ও বন্ধু তুই যখন আসিস,
একটু ভালো বাসিস
ফুলের একটা গন্ধ,
পাই যে আমি খুইজা
চক্ষু দুইটা বুইজা..~~*

মাথা ঘুরে উঠলো সাকির। সে কি ভালোবাসে হাদীকে? কোন পারফিউম না, ওটা প্রেমের গন্ধ? এমন হতে পারে? পরদিন থেকে আড়চোখে খেয়াল করতে লাগলো হাদীকে। আসলেই ছেলেটাকে ভালো লাগে তার।
অদ্ভুত! কি অদ্ভুত!
.
.

তারপর একদিন। ক্লাসে নেই কেউ।
হাদী এসে সামনে দাঁড়ালো সাকির।
‘সাকি আমার বড় আপুর জন্যে একটা পারফিউম কিনতে হবে। তুমি কোন পারফিউমটা ব্যবহার করো বলবে? আসলে তুমি ক্লাসে ঢুকলেই মিষ্টি একটা গন্ধ পাই আমি।’

মাথা নিচু করে হেসে ফেলল সাকি। গাধাটাকে ঐ বাউলের গানটা শোনাতে হবে।
.
.
.

পুনশ্চঃ আজ কাজিনের বাসা থেকে ফিরছিলাম।
পথিমধ্যে এক বাউলের গলায় গানটা শুনেছি আমি। হুবহু না হলেও গানের কথা এই টাইপেরই ছিল। যারা লেখাটা পড়ে ভাবছেন গাঁজাখুরি গল্প, প্রেমের আবার গন্ধ হয় নাকি।
তাদের বলছি, "হয় হয়, প্রিয়জনের কাছে গিয়ে লম্বা শ্বাস নিয়ে দেখুন। আর কোন গন্ধ না পেলে বুঝবেন, হি অর শি ইজ নট দ্যা রাইট পারসন "
উৎসর্গঃ প্রিয় বন্ধু..... ♥F.A. Shaki.
.
লিখাঃ Asadur Rahman Hadi.

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

চিরসত্য

"আজ তুমি যাকে যেভাবে কষ্ট দিচ্ছো, ঠকাচ্ছো, অবহেলা করছো, ইমোশন নিয়ে খেলতেছো, প্রতারণা করছো। ভেবো না যে তুমি পার পেয়ে যাবে। অতটা সোজা মনে করো না। হঠাৎ কোন একদিন আসবে যেদিন তুমি ঠিক একই ভাবে কারোর দ্বারা কষ্ট পাবে, ঠকে যাবে, অবহেলিত হবে, প্রতারিত হবে। আর সেই দিনটা খুব বেশি দূরে নয়... অপেক্ষায় থেকো!! . জানো তো এই পৃথিবীটা কিন্তু গোল। এখানে তুমি যা করবে, যে অন্যায় করবে, যে পাপ করবে, তা ঠিক ঘুরেফিরে কোন একদিন তোমার কাছে চলে আসবেই। আসতে বাধ্য... তোমার কারণে যদি কারোর চোখ থেকে এই ফোটা পানিও পড়ে যায়, অপেক্ষায় থাকো কেউ একজন তোমার চোখ থেকে শত শত ফোটা পানি পড়ার কারণ হবে!! . দিনের পর দিন যার সাথে ভালোবাসার মিথ্যে অভিনয় করে আসতেছো। একটু একটু করে একটা মানুষের বিশ্বাস নিয়ে মন মতো খেলতেছো। অথচ ও পাশের মানুষটা তোমার ছলনা কিছুই বুঝতে পারেনি, তাই বলে ভেবো না তুমি জিতে গেছো। অপেক্ষা করো একই ভাবে কেউ না কেউ তোমার ভালোবাসা নিয়ে মিথ্যে অভিনয় করে যাবে, তোমার বিশ্বাস নিয়ে খেলবে!! . আমি নিজেও এটা খেয়াল করেছি।  যদি কখনো কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করেছি তো অন্য কোন দিন কেউ একজন তারচেয়েও বেশি খারাপ ব্যবহ

★মিষ্টি ঝগড়া★

- তোমার তো এখানে বসে থাকার কথা ছিলনা!! তবে এখানে কেন বসে আছো? হাদী কে শাসানোর মতো করে কথা গুলো বলতে থাকে অধরা। পাক্কা ১৫ মিনিট ধরে পুরো পার্ক তন্ন তন্ন করে হাদী কে খুজেছে অধরা। দু'জনের দেখা করার কথা ছিলো পার্কের অন্য কোনায় যেখানে অনেক গুলো ফুল গাছ আছে। লাল রঙের ফুল অধরার খুব পছন্দ। হাদী অধরা কে সবসময় লাল রঙের ফুল দিয়েই প্রপোজ করে। পার্কে আসলে যখনই অধরার অভিমান হয় তখন-ই গাছ থেকে একটা লাল ফুল এনে অধরাকে দেয়। আজ সে ধরনের কোনো সুযোগ নেই। অধরার দিকে না তাকিয়েই হাদী জবাব দিতে থাকে। - এখানে অনেক ঘাস আছে তাই বসে আছি। - তুমি কি ছাগল যে ঘাস দেখে বসতে হবে? -আমি ঘাস দেখে বসিনি, ঘাসের উপর বসে আছি। চাইলে তুমিও বসতে পার। - আমি তোমার মত ছাগল না। -আমি জানি তুমি ছাগল না। ছাগলের স্ত্রী লিঙ্গ ছাগী। - কি আমাকে তুমি ছাগী বললে!!!!???? -এখনো বলিনি, তবে ছাগলের বউ ছাগীই হয়। - আমি তোমার বউ না। - আমি তো বলিনি তুমি আমার বউ। - এতো কথা প্যাঁচাও ক্যান? তুমি একটা রামছাগল। - রামছাগলের দাড়ি থাকে। আমি একদম ক্লিন শেভ। - ওহ অসহ্য!!! কেনো যে তোমার মত ইডিয়েটের সাথে প্রেম করি? - আমরা প্রেম করছি না। আমরা

♥ঝগড়াটে মিষ্টি বউ♥

– এই যে মিস্টার বাদাম . কথাটা শুনে বন্ধ মুখ টা হা হয়ে গেলো। পার্কের টুলে বসে বসে বাদাম খাচ্ছি। এমন সময় মেয়েলী কন্ঠে এমন ডাক। এটা নিশ্চই কল্পনার বাইরে। . – এই আমার নাম আছে। আর আপনি অাগন্তুক কোথা থেকে এসে আমাকে মিস্টার বাদাম বলছেন?? – অামি অাপনার নাম জানি না তাই বাদাম খাচ্ছেন দেখে ওটা বললাম। – মাথায় সমস্যা??? – থাকতেও পারে। – ওই অাপনি অামাকে পাগল ভাবছেন?? – হতেও তো পারেন। – অাপনাকে অাপনাকে – কি?? – অামার মাথা। – তো এটা বলতে এরকম করা লাগে?? – ওহহ এই অাপনি কে?? – এতক্ষন যার সাথে ঝগড়া করছেন. – ও মোর খোদা অামারে উঠাই নাও না ক্যান। – দাড়ি বা মই কিছু তো খোদায় দিলো না উঠবেন কি করে?? – অাপনি কি পাবনা থেকে এসেছেন?? – মরতে যাবো পাবনা?? – তো অামাকে মারতে অাসছেন কেন?? – মারতে অাসলে তো সেই কখন মেরে ফেলতাম। – তো কেন এসেছেন?? – অাপনাকে নিতে। – কোথায়?? – পাবনায়। – অাপনার মাথায় সমস্যা অাপনি যান। – অাসুন তো। – কোথায়?? – অামার সাথে। – দেখুন অামার একজনের সাথে দেখা করার কথা। – লাগবেনা সেটা। – অাপনাকে অামি চিনিনা অাপনার সাথে কোথায় যাবো?? – এতক্ষন কথা বলার পরও অচেনা?? – হুমম