সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

★প্রপোজ★

- হ্যালো , জেসমিন বলছো ?

- হুম , কে বলছো ?

–আ…আমি… [তোতলাচ্ছি]

-আ..আমি টা কে ? [ওপাশের রাগত গলা ।]

– আ…আ…আমি [কথা ভুলে গেছি , দুনিয়াতে এখন একটাই শব্দ মনে আছে !

-ধুরররর [ঐপাশ থেকে মুখ খারাপ করা কিছু গালি ভেসে এলো এবং ট্যাঁ ট্যাঁ করে ফোনটাও কেটে গেলো ।]

.

.

গত একবছরে এটাই আমার গল্প। আমি ভাল থাকার জন্যে ভাল রাখার সিম আর পাশে টানার জন্য পাশে আনার সিম [ অবশ্যি শতাধিক ]  কিনেও কোন সুবিধা করতে পারলাম না!

জেসমিন নামের এই ভয়াবহ রাগী মেয়েটাকে কি কারণে এতো ভাল লাগে আমি জানি না , শুধু এটা জানি প্রচন্ড গরমে বা খুব রেগে গেলে যখন ওর গালে আবীর জন্মে আমার ওকে ছুঁয়ে দিতে ইচ্ছা হয়! কিংবা যখন ক্লাসে কারো ব্যাগে তেলাপোকা ছেড়ে দিয়ে কুটনামি করার পরম আনন্দে হাসে তখন ওর কপালের চুল গুলো সরিয়ে দিয়ে ওকে দেখতে ইচ্ছা হয় ! কিন্তু কথা বলতে গেলেই সমস্যা। আমি ছাড়া অন্য শব্দ মাথাতেই আসে না।

.

শেষ মেষ একবুদ্ধি নিলাম, অবশ্যিই ধার করা , আমি চরম লেভেলের গাধা টাইপ মানুষ, ভালবাসি বলতে একবছর পার করলাম বলতে পারলাম না এসব বুদ্ধি আমার মাথায় আসার প্রশ্ন-ই আসেনা।

.

পরদিন একটা চটের ব্যাগে একটা আর্টপেপার, একটা ক্যান্ডেল, একজোড়া ১৫০টাকা দামের স্যান্ডেল, একটা পায়েল নিয়ে ভার্সিটি গেলাম।

ক্লাস শেষ হলে ব্যাগ টা জেসমিনের হাতে দেয়ার সাহস আমার হলো না!

আরেক বন্ধুকে একটা আইসক্রীম দিয়ে ম্যানেজ করলাম। ও কেমন করে দিবে আমার জানা নাই তবে আমার এ বন্ধুটি খুব-ই কঠোর পরিশ্রমী দিবে যে সন্দেহ নাই ।

শুধু এতটুকু গ্যারান্টি রাখতে হবে যে রাত ১২টা পর্যন্ত ব্যাগটা জেসমিন ওর বাসায় রাখবে ।

.

রাতে ওকে মেসেজ দিলাম একটু কষ্ট করে মোমটা জ্বালাও। আর্ট পেপার টাকে মোমের সামনে মেলে ধরো। প্লিজ এতটুকু করো প্লিজ।

.

সারারাত আল্লাহ আল্লাহ করলাম পরদিন কপালে জুতা না প্রিয়তা কি আছে তা ভেবে!

.

জেসমিন মেসেজ পড়ে একটু অবাক হলো! আর্টপেপারটা জ্বলন্ত মোমের সামনে ধরতেই লেখাটা ফুটে উঠলো

.

একবছর ধরে তোমাকে ফোন করে আমি শব্দটা ছাড়া কিছু বলতে পারিনি। বাকি শব্দ দুটো হল তোমাকে ভালবাসি । তুমি যদি না চাও তবে কিছু বলতে হবে না জুতো টা পড়ে এসো আর যদি তোমার আপত্তি না থাকে তবে পায়েলটা কখনো খুলো না।

.

.

পরদিন সকালে আমাকে জেসমিন ফোন দিয়ে যা বলল তার কিছুটা এরকম :


 


- ঐ গাধা ! একবছর ধরে তিনটা শব্দ বলতে পারোনা ফিচলামি বুদ্ধিতো নিয়ে ঠিক-ই ঘুরো ! বাই দ্য ওয়ে জুতোটাও আমার পছন্দ হয়েছে কি করি?


- আমি..আমি..


-ঐ গাধা, পায়েলটা কি আমিই পরবো না তুমি পরায়ে দিবা ?


 


ফোনের এপাশ থেকে চিঁচিঁ করে বললাম,


“আমি…আমি..আমি..”


ঐপাশ থেকে জেসমিন বলল,


“হায়রে গাধারে !”


আমার গলা দিয়ে তিনটা শব্দই বের হল ,


“আমি .. আমি .. আমি..”

(এবার কিন্তু প্রেমটা হয়েই গেলো।)

.

লিখাঃ Asadur Rahman Hadi.

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

চিরসত্য

"আজ তুমি যাকে যেভাবে কষ্ট দিচ্ছো, ঠকাচ্ছো, অবহেলা করছো, ইমোশন নিয়ে খেলতেছো, প্রতারণা করছো। ভেবো না যে তুমি পার পেয়ে যাবে। অতটা সোজা মনে করো না। হঠাৎ কোন একদিন আসবে যেদিন তুমি ঠিক একই ভাবে কারোর দ্বারা কষ্ট পাবে, ঠকে যাবে, অবহেলিত হবে, প্রতারিত হবে। আর সেই দিনটা খুব বেশি দূরে নয়... অপেক্ষায় থেকো!! . জানো তো এই পৃথিবীটা কিন্তু গোল। এখানে তুমি যা করবে, যে অন্যায় করবে, যে পাপ করবে, তা ঠিক ঘুরেফিরে কোন একদিন তোমার কাছে চলে আসবেই। আসতে বাধ্য... তোমার কারণে যদি কারোর চোখ থেকে এই ফোটা পানিও পড়ে যায়, অপেক্ষায় থাকো কেউ একজন তোমার চোখ থেকে শত শত ফোটা পানি পড়ার কারণ হবে!! . দিনের পর দিন যার সাথে ভালোবাসার মিথ্যে অভিনয় করে আসতেছো। একটু একটু করে একটা মানুষের বিশ্বাস নিয়ে মন মতো খেলতেছো। অথচ ও পাশের মানুষটা তোমার ছলনা কিছুই বুঝতে পারেনি, তাই বলে ভেবো না তুমি জিতে গেছো। অপেক্ষা করো একই ভাবে কেউ না কেউ তোমার ভালোবাসা নিয়ে মিথ্যে অভিনয় করে যাবে, তোমার বিশ্বাস নিয়ে খেলবে!! . আমি নিজেও এটা খেয়াল করেছি।  যদি কখনো কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করেছি তো অন্য কোন দিন কেউ একজন তারচেয়েও বেশি খারাপ ব্যবহ

★মিষ্টি ঝগড়া★

- তোমার তো এখানে বসে থাকার কথা ছিলনা!! তবে এখানে কেন বসে আছো? হাদী কে শাসানোর মতো করে কথা গুলো বলতে থাকে অধরা। পাক্কা ১৫ মিনিট ধরে পুরো পার্ক তন্ন তন্ন করে হাদী কে খুজেছে অধরা। দু'জনের দেখা করার কথা ছিলো পার্কের অন্য কোনায় যেখানে অনেক গুলো ফুল গাছ আছে। লাল রঙের ফুল অধরার খুব পছন্দ। হাদী অধরা কে সবসময় লাল রঙের ফুল দিয়েই প্রপোজ করে। পার্কে আসলে যখনই অধরার অভিমান হয় তখন-ই গাছ থেকে একটা লাল ফুল এনে অধরাকে দেয়। আজ সে ধরনের কোনো সুযোগ নেই। অধরার দিকে না তাকিয়েই হাদী জবাব দিতে থাকে। - এখানে অনেক ঘাস আছে তাই বসে আছি। - তুমি কি ছাগল যে ঘাস দেখে বসতে হবে? -আমি ঘাস দেখে বসিনি, ঘাসের উপর বসে আছি। চাইলে তুমিও বসতে পার। - আমি তোমার মত ছাগল না। -আমি জানি তুমি ছাগল না। ছাগলের স্ত্রী লিঙ্গ ছাগী। - কি আমাকে তুমি ছাগী বললে!!!!???? -এখনো বলিনি, তবে ছাগলের বউ ছাগীই হয়। - আমি তোমার বউ না। - আমি তো বলিনি তুমি আমার বউ। - এতো কথা প্যাঁচাও ক্যান? তুমি একটা রামছাগল। - রামছাগলের দাড়ি থাকে। আমি একদম ক্লিন শেভ। - ওহ অসহ্য!!! কেনো যে তোমার মত ইডিয়েটের সাথে প্রেম করি? - আমরা প্রেম করছি না। আমরা

♥ঝগড়াটে মিষ্টি বউ♥

– এই যে মিস্টার বাদাম . কথাটা শুনে বন্ধ মুখ টা হা হয়ে গেলো। পার্কের টুলে বসে বসে বাদাম খাচ্ছি। এমন সময় মেয়েলী কন্ঠে এমন ডাক। এটা নিশ্চই কল্পনার বাইরে। . – এই আমার নাম আছে। আর আপনি অাগন্তুক কোথা থেকে এসে আমাকে মিস্টার বাদাম বলছেন?? – অামি অাপনার নাম জানি না তাই বাদাম খাচ্ছেন দেখে ওটা বললাম। – মাথায় সমস্যা??? – থাকতেও পারে। – ওই অাপনি অামাকে পাগল ভাবছেন?? – হতেও তো পারেন। – অাপনাকে অাপনাকে – কি?? – অামার মাথা। – তো এটা বলতে এরকম করা লাগে?? – ওহহ এই অাপনি কে?? – এতক্ষন যার সাথে ঝগড়া করছেন. – ও মোর খোদা অামারে উঠাই নাও না ক্যান। – দাড়ি বা মই কিছু তো খোদায় দিলো না উঠবেন কি করে?? – অাপনি কি পাবনা থেকে এসেছেন?? – মরতে যাবো পাবনা?? – তো অামাকে মারতে অাসছেন কেন?? – মারতে অাসলে তো সেই কখন মেরে ফেলতাম। – তো কেন এসেছেন?? – অাপনাকে নিতে। – কোথায়?? – পাবনায়। – অাপনার মাথায় সমস্যা অাপনি যান। – অাসুন তো। – কোথায়?? – অামার সাথে। – দেখুন অামার একজনের সাথে দেখা করার কথা। – লাগবেনা সেটা। – অাপনাকে অামি চিনিনা অাপনার সাথে কোথায় যাবো?? – এতক্ষন কথা বলার পরও অচেনা?? – হুমম