সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

☆অচেনা অতিথি☆

☆অচেনা অতিথি☆
.
: এই যে মিস্টার ?
- জ্বি, আমাকে বলছেন?
: হ্যা, আশেপাশে আপনি ছাড়া আর কাউকে তো দেখতে পাচ্ছি না।
- জ্বি বলুন।
: আপনি পাবলিক প্লেসে সিগারেট খাচ্ছেন কেন?
- হাহাহাহা
: হাসলেন যে?
- যাক দেশে তাহলে এখনো ভাল মানুষ আছে?
: আপনি পার্কে সিগারেট খাচ্ছেন, আপনি জানেন এইটা অন্যায়?
- শিশু পার্কে শিশু তৈরির কারিগররা পার্কে বসে রোমাঞ্চ করছে এটা অন্যায় না..?
: ঐটা যার যার পারসোনালিটির উপর নির্ভর করে?
- আমার ও পারসোনালিটিতে বলছে পার্কে বসে সিগারেট খেতে...!
: শুশিল সমাজ কি এগুলা মেনে নিবে?
- এখনো কি আর শুশিল সমাজ আছে নাকি , সবাই তো অশ্লীল।
: আপনি কি সিগারেট খাওয়া বন্ধ করবেন।
- ১১ টাকা দাম। কেবল অর্ধেক হলো, বাকিটা শেষ করি। আপনি খাবেন নাকি ?
: কতবড় সাহস, আপনি আমাকে সিগারেট অফার করেন। আপনি জানেন আমি কে?
- খুব মিষ্টি একটা মেয়ে। নামটাও কি মিষ্টি?
: জ্বি না, আমিও মোটেও মিষ্টি না। খুব টক। আমার নাম স্পর্শীয়া।
- আমার মা বলেছে কখনো কিছু একা খাবি না, অন্যকে শেয়ার করবি। প্যাকেটে আরও আছে, আপনি চাইলে আগুন ছাড়া খেতে পারেন। যাক আপনার নামটাও জানা হয়ে গেলো। বসুন না।
: থামবেন আপনি? আপনাদের মত ছেলেদের ভাল করেই চেনা আছে। একটু পর ফোন নাম্বার, ফেইসবুক আইডি চেয়ে বসবেন।
- আপনি আমার সাথে ১০ মি কথা বলেন, দেখবেন নিজ থেকেই আপনি আমার ফেইসবুক আইডি, ফোন নাম্বার নিবেন। আমি নাকি খুব গুছিয়ে গুছিয়ে খুব সুন্দর করে কথা বলতে পারি। সাদিয়া বলেছে..!
: বয়েই গেছে? সাদিয়া কে?
- আমার ফেইসবুক ফ্রেন্ড, রাজশাহী ইউনিভার্সিটিতে BBA পড়ে, ম্যানেজমেন্ট সাবজেক্ট নিয়ে। ১ ম বর্ষ। ২১ তম ব্যাচ।
: আপনি এত কথা কেন বলেন?
- আমার কাছে কথা বলাটা একটা শিল্প।
: হইছে, আপনি কিন্তুু সিগারেট এখনো ফেললেন না।
- আচ্ছা
: থ্যাংকস
- স্বাগতম। তা মিসেস শুশীল আপনি পার্কে কি করছেন।
: আমার এক বান্ধবীর সাথে দেখা করতে এসেছি। এসে এক পাগলের পাল্লায় পড়েছি।
- পৃথিবীর প্রতিটা মানুষই পাগল।
: আমি আপনাকে কিছু বলেনি।
- আমি কি আপনাকে কিছু বলছি নাকি। কেউ টাকার জন্য, কেউ ক্ষমতার জন্য, কেউ ক্যারিয়ার, কেউ শিক্ষা, কেউ আবার বিয়ের জন্য।
: আচ্ছা আপনি কিসের জন্য পাগল?
- আপনার মত কাউকে পাওয়ার জন্য।
: কি?
- কিছু না। মজা করলাম।
: আপনি এই দুপুরে পার্কে কি করছেন?
- আমি একজন পথিক হেঁটে বেড়ানো আমার কাজ। হাঁটতে হাঁটতে তৃষ্ণার্ত তাই একটু তৃষ্ণা মেটালাম।
: সিগারেট খেয়ে কেউ তৃষ্ণা মেটায়। আসলেই আপনার মাথায় প্রবলেম আছে?
- জ্বি, হ্যা। সবাই তাই বলে। সত্যিই নীল শাড়িতে আপনাকে খুব মানিয়েছে ।
: আমি জানি।
- আচ্ছা আমি আসি, আপনি বসুন।
: পারলে সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দিবেন।
- হাহাহা
: হাসলেন যে?
- এমনি।
: আপনার নাম টা কিন্তুু জানা হলো না।
- হাদী
: কি করেন?
- ঘুড়ে বেড়াই, আসছি ।
[ পার্ক থেকে চলে আসলাম, স্পর্শীয়া হয়তো আমার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। মেয়েরা একটু রহস্যময়ী। রহস্য থাকলে তাদের সেখানে ইন্টারেস্ট বেশি থাকে, তাহমিনা খুব ইন্টারেস্টেট ছিল আমার ব্যাপারে। চোখ মুখ দেখেই বুঝা যাচ্ছিল। তার মনে হয়তো প্রশ্ন জন্মছে আমি কে? কি করি? কেন হেটে বেড়াই..???
আর আমি তাও জানি এই রহস্য নিয়ে অনেক ভাববে। মনে মনে চাইবে আমার সাথে আবার দেখা হোক। কিন্তু আমার সাথে দেখা পাওয়া এতটা সহজ না। আমি যে ছুটে চলেছি অবিরাম উদ্দেশহীন ভাবে ]
কিছু কিছু মেয়ে আছে যাদেরকে কারনে-অকারনে সত্যই খুব ভাল লাগে, স্পর্শীয়াও তার ব্যাতিক্রম না। ইচ্ছা করে হাত বাড়িয়ে বলি, চলোনা সামনের দিনগুলো একসাথে হাটি। কিন্তুু চাঁদ দূরের আকাশেই সুন্দর কাছে যেতে নেই, ফুল তো বাগানেই সুন্দর ছিড়তে নেই। জীবন চলার পথে অচেনা অতিথি হয়ে, কে যে চলার পথ থামিয়ে দিয়ে বলবে চলো না একসাথে হাটি। জানা নেই। আমি চলছি আমার মত, সব পিছুটান ভুলে। সামনের দিকে, দূর অজনায়।
.
লিখাঃ Asadur Rahman Hadi.

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

চিরসত্য

"আজ তুমি যাকে যেভাবে কষ্ট দিচ্ছো, ঠকাচ্ছো, অবহেলা করছো, ইমোশন নিয়ে খেলতেছো, প্রতারণা করছো। ভেবো না যে তুমি পার পেয়ে যাবে। অতটা সোজা মনে করো না। হঠাৎ কোন একদিন আসবে যেদিন তুমি ঠিক একই ভাবে কারোর দ্বারা কষ্ট পাবে, ঠকে যাবে, অবহেলিত হবে, প্রতারিত হবে। আর সেই দিনটা খুব বেশি দূরে নয়... অপেক্ষায় থেকো!! . জানো তো এই পৃথিবীটা কিন্তু গোল। এখানে তুমি যা করবে, যে অন্যায় করবে, যে পাপ করবে, তা ঠিক ঘুরেফিরে কোন একদিন তোমার কাছে চলে আসবেই। আসতে বাধ্য... তোমার কারণে যদি কারোর চোখ থেকে এই ফোটা পানিও পড়ে যায়, অপেক্ষায় থাকো কেউ একজন তোমার চোখ থেকে শত শত ফোটা পানি পড়ার কারণ হবে!! . দিনের পর দিন যার সাথে ভালোবাসার মিথ্যে অভিনয় করে আসতেছো। একটু একটু করে একটা মানুষের বিশ্বাস নিয়ে মন মতো খেলতেছো। অথচ ও পাশের মানুষটা তোমার ছলনা কিছুই বুঝতে পারেনি, তাই বলে ভেবো না তুমি জিতে গেছো। অপেক্ষা করো একই ভাবে কেউ না কেউ তোমার ভালোবাসা নিয়ে মিথ্যে অভিনয় করে যাবে, তোমার বিশ্বাস নিয়ে খেলবে!! . আমি নিজেও এটা খেয়াল করেছি।  যদি কখনো কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করেছি তো অন্য কোন দিন কেউ একজন তারচেয়েও বেশি খারাপ ব্যবহ

★মিষ্টি ঝগড়া★

- তোমার তো এখানে বসে থাকার কথা ছিলনা!! তবে এখানে কেন বসে আছো? হাদী কে শাসানোর মতো করে কথা গুলো বলতে থাকে অধরা। পাক্কা ১৫ মিনিট ধরে পুরো পার্ক তন্ন তন্ন করে হাদী কে খুজেছে অধরা। দু'জনের দেখা করার কথা ছিলো পার্কের অন্য কোনায় যেখানে অনেক গুলো ফুল গাছ আছে। লাল রঙের ফুল অধরার খুব পছন্দ। হাদী অধরা কে সবসময় লাল রঙের ফুল দিয়েই প্রপোজ করে। পার্কে আসলে যখনই অধরার অভিমান হয় তখন-ই গাছ থেকে একটা লাল ফুল এনে অধরাকে দেয়। আজ সে ধরনের কোনো সুযোগ নেই। অধরার দিকে না তাকিয়েই হাদী জবাব দিতে থাকে। - এখানে অনেক ঘাস আছে তাই বসে আছি। - তুমি কি ছাগল যে ঘাস দেখে বসতে হবে? -আমি ঘাস দেখে বসিনি, ঘাসের উপর বসে আছি। চাইলে তুমিও বসতে পার। - আমি তোমার মত ছাগল না। -আমি জানি তুমি ছাগল না। ছাগলের স্ত্রী লিঙ্গ ছাগী। - কি আমাকে তুমি ছাগী বললে!!!!???? -এখনো বলিনি, তবে ছাগলের বউ ছাগীই হয়। - আমি তোমার বউ না। - আমি তো বলিনি তুমি আমার বউ। - এতো কথা প্যাঁচাও ক্যান? তুমি একটা রামছাগল। - রামছাগলের দাড়ি থাকে। আমি একদম ক্লিন শেভ। - ওহ অসহ্য!!! কেনো যে তোমার মত ইডিয়েটের সাথে প্রেম করি? - আমরা প্রেম করছি না। আমরা

♥ঝগড়াটে মিষ্টি বউ♥

– এই যে মিস্টার বাদাম . কথাটা শুনে বন্ধ মুখ টা হা হয়ে গেলো। পার্কের টুলে বসে বসে বাদাম খাচ্ছি। এমন সময় মেয়েলী কন্ঠে এমন ডাক। এটা নিশ্চই কল্পনার বাইরে। . – এই আমার নাম আছে। আর আপনি অাগন্তুক কোথা থেকে এসে আমাকে মিস্টার বাদাম বলছেন?? – অামি অাপনার নাম জানি না তাই বাদাম খাচ্ছেন দেখে ওটা বললাম। – মাথায় সমস্যা??? – থাকতেও পারে। – ওই অাপনি অামাকে পাগল ভাবছেন?? – হতেও তো পারেন। – অাপনাকে অাপনাকে – কি?? – অামার মাথা। – তো এটা বলতে এরকম করা লাগে?? – ওহহ এই অাপনি কে?? – এতক্ষন যার সাথে ঝগড়া করছেন. – ও মোর খোদা অামারে উঠাই নাও না ক্যান। – দাড়ি বা মই কিছু তো খোদায় দিলো না উঠবেন কি করে?? – অাপনি কি পাবনা থেকে এসেছেন?? – মরতে যাবো পাবনা?? – তো অামাকে মারতে অাসছেন কেন?? – মারতে অাসলে তো সেই কখন মেরে ফেলতাম। – তো কেন এসেছেন?? – অাপনাকে নিতে। – কোথায়?? – পাবনায়। – অাপনার মাথায় সমস্যা অাপনি যান। – অাসুন তো। – কোথায়?? – অামার সাথে। – দেখুন অামার একজনের সাথে দেখা করার কথা। – লাগবেনা সেটা। – অাপনাকে অামি চিনিনা অাপনার সাথে কোথায় যাবো?? – এতক্ষন কথা বলার পরও অচেনা?? – হুমম