সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

বুদ্ধিজীবি অব দ্যা ইয়ার

আকিজ সাহেব তার অফিসের চেয়ারে হেলান দিয়ে চোখ দু’টো বুজে নিজের কথা চিন্তা করছিলেন। চিন্তা করছিলেন আজ তিনি কোথা থেকে কোথায় এসে পৌছেছেন। চিন্তা করতে করতে হঠাৎ আকিজ সাহেব শরীরটা ঝাকি দিয়ে চোখ খোলে সোজা হয়ে বসলেন। এবং মনে মনে ভাবলেন- কি সব বাজে চিন্তা !! এই চিন্তা করার কোন মানে আছে??

আকিজ সাহেব বর্তমানে এই শহরের একজন বিরাট ব্যবসায়ী। অনেক গুলো প্রতিষ্ঠানের মালিক তিনি তবে মজার ব্যপার হলো তিনি যে সকল প্রতিষ্ঠানের মালিক তার অধিকাংশই ইলেকট্রনিক্সের প্রতিষ্ঠান। বিষয়টাকে যদি মজার ব্যপার বলি তাহলে ভুল হবে, বিষয়টা বাস্তব। আজ থেকে প্রায় ২৩ বছর আগে তিনি এই অবস্থানে ছিলেন না, তার অবস্থা ছিল খুবই নগন্য। সেই সময় কারওয়ান বাজারে তার একটি দোকান ছিল যেখানে টিভি, ফ্রিজ, এসি সহ বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক্স পন্য মেরামত করা হতো। প্রথম দিকে লোকটি ভালই সৎ ছিল, পরবর্তী সময়ে তার ভিতরে একটু অসততা বসবাস করতে শুরু করে। এই সময় যে সকল পন্য আসত তার কাছে, সে সেগুলো ভাল ভাবে ঠিক না করে গ্রাহককে দিয়ে দিতেন। আবার অনেক সময় তিনি বলতেন এই পণ্যটি ডেথ্, এটি আর ঠিক করা যাবে না। এই বলে তিনি তাদের কাছ থেকে কম দামে পণ্য গুলো কিনে রাখতেন এবং পরে সেগুলো ঠিক করে বিক্রি করতেন। এই ভাবে তার ব্যবসা ভালই ফুলে-ফেপে উঠেছিল।

যখন হাতে কিছু টাকা এলো তখন দেশে টিভি চ্যানেলের সংখ্যা ভালই বেড়েছে। এই টিভি চ্যানেল গুলো চায়না থেকে বিভিন্ন সম্প্রচার যন্ত্র এনে অনুষ্ঠান সম্প্রচার করতে থাকে। কিন্তু সমস্য দেখা দেয় এই যন্ত্রগুলো কিছু দিন পর পরই নষ্ট হয়ে যায়। আকিজ সাহেব সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়ে এই যন্ত্রগুলো মেরামতের কাজও শিখে নেয়। এখানেও আকিজ সাহেব প্রথম দিকে ভালই ছিলেন। পরবর্তীতে একটু অসৎস হয়ে যায়। সে কিছু সম্প্রচার যন্ত্র ঠিক করতেন আবার কিছু সম্প্রচার যন্ত্র ঠিক না করে ডেথ বলে নিজেই কিনে রাখতেন। এই যন্ত্র গুলো আকিজ সাহেব বিক্রি করতেন না। তার মনের ভিতরে এটি বাসনা ছিল তিনিও একটি টিভি চ্যানেলের মালিক হবেন।

এই ভাবে ধীরে ধীরে একটি টিভি চ্যানেলের জন্য যা যা প্রয়োজন সবই তিনি যোগার করে ফেললেন। এই ফকে তারও অনেক টাকা পয়সা হয়ে গেল। তিনি সরকারের কাছে আবেদন করলেন একটি টিভি চ্যানেলের লাইসেন্সের জন্য। সরকার তাকে লাইসেন্সও দিয়ে দিলেন। তার টিভি চ্যানেলর নাম রাখলেন A to Z, কারন আকিজ সাহেবের নামের শুরু A দিয়ে এবং শেষ Z দিয়ে, তাছাড়া এতো টিভি চ্যানেলের মাঝে নাম ঠিক করাই কঠিন হয়ে পড়ছিল, তাই তিনি এই নাম রাখেন। আবার এই A to Z দিয়ে তিনি আরো বুঝাতে চয়েছেন যে- এখানে সব ধরনের অনুষ্ঠানই দেখানো হবে। আকিজ সাহেবর টিভি চ্যানেল সহ দেশে এখন টিভি চ্যানেলের সংখ্যা ২২১টি।

লাইসেন্স পাওয়ার পর আকিজ সাহেব টিভি চ্যানেলের জন্য কিছু লোকবল নিয়োগ দিলেন, দু একজন উচ্চ শিক্ষিত বাদে সবাই একটু কম শিক্ষিত, এমন কি তিনি ক্ষেত্র বিশেষে টিভি ম্যাকানিকদেরও নিয়োগ দিয়েছিলেন।
আজ আকিজ সাহেব চেয়ারে বসে বসে এই কথাগুলোই চিন্তা করছিল। এই টিভি চ্যানেলটা তার শখের জিনিস। কিন্তু টিভি চ্যানেলটা খুব বেশি ভাল ব্যবসা করতে পারছে না, তারপরও শখের জিনিস তাই তিনি বিক্রয় করতে পারছেন না। আকিজ সাহেব চিন্তা করছেন কি ভাবে টিভি চ্যানেল কে দিয়ে ভাল ব্যবসা করানো যায়। তাই আজ আকিজ সাহেব জরুরী বোর্ড মিটিংক ডেকেছেন। কিছুক্ষণ পরেই মিটিং শুরু হবে। মিটিং এ যাবার আগেই তিনি একবার বাথা রুমে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করলেন। আকিজ সাহেব চেয়ার থেকে উঠে বাথরুমে গেলেন।

বোর্ডের মিটিংএ সবাই এসে উপস্থিত। আকিজ সাহেব এখনো এসে পৌছায় নি, সবাই তার জন্য অপেক্ষা করছে। মিনিট দুই তিনের মধ্যেই আকিজ সাহেব মিটিং রুমে এসে উপস্থিত হলেন। সবাই দাড়িয়ে তাকে সম্মান জানালেন। তিনি সবাইকে বসার নির্দেশ দিয়ে নিজেও বসে পড়লেন।

মিটিং তিনিই শুরু করলেন- বললেন কি ভাবে এই টিভি চ্যানেলকে আরো বেশি জনপ্রিয় করে তোলা যায়?

পাশেই বসে থাকা ম্যানেজার বললেন- আমাদের যে সকল অনুষ্ঠান মানুষ সবচেয়ে কম দেখে সেগুলোকে আগে বাদ দিয়ে সেখানে নতুন অনুষ্ঠান শুরু করতে হবে।

আকিজ সাহেজ বললেন- কি ভাবে সেটা সম্ভব?

ম্যানেজার- স্যার আমি ইতোমধ্যে একটা জরিপ করেছিলাম দর্শকদের উপর, তারা তাদের দেখা সবচাইতে খারাপ অনুষ্ঠানের কথা বলেছে।

দেখাওতো রিপোর্ট, বললেন আকিজ সাহেব,

ম্যানেজার সামনের দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়ে রিপোর্টটা আজিক সাহেবের কাছে দিলেন। আকিজ সাহেব কিছুক্ষণ রিপোর্টের দিকে তাকিয়ে থেকে বললেন-
—-কি আজব ব্যাপার? তুমি বলছ আমার বউ জরিনার গানের অনুষ্ঠান সবচাইতে খারাপ??? আমার বন্ধু বান্ধব সবাই জরিনার গানের ভক্ত। তারা বাসায় এলেই জারিনার গান না শুনে যেতেই চায় না। আর তুমি বল জরিনার গানের অনুষ্ঠান সবচাইতে খারপ??? এতো বড় সাহস।

ম্যনেজেরা বললেন- আমি বলি নাই, দর্শক বলছে

আজিক সাহেব বললেন- দর্শক বললেই হবে??? জরিনার গানের অনুষ্ঠান কোন ভাবেই বন্ধ করা যাবে না। ওর গানের অনুষ্ঠান বন্ধ করলে আমাকে বাড়ি থেকেই বের করে দিবে।

ম্যানেজার নিরুপায় হয়ে আকিজ সাহেবের কথায় সম্মতি জানালেন।

আকিজ সাহেব আরেক দফা রিপোর্টের দিকে তাকিয়ে বললেন – এই যে- বিভিন্ন ধরনের গানের, নাচের প্রতিযোগীতা এর অবস্থাওতো ভাল না। এ গুলো বাদ দিয়ে দিন।

ম্যানেজার এখানেও সম্মতি জানালেন এবং বললেন- স্যার এখানে কি অনুষ্ঠান দিব??

আকিজ সাহেব রেগে গিয়ে বললেন- এটা কি আমি বলে দিব? আপনাদের রেখেছি কি কারণে???

ম্যানেজার একটু ভয় পেয়ে গেলেন আর মনে মনে ভাবলেন- বেশি কথা বলা উচিত হবে না, বেশি কথা বললে চাকরিটাই চলে যাবে, তার চাইতে ভাল স্যারের কথায় সায় দেয়া।

আকিজ সাহেব ম্যানেজার কে উদ্দেশ্য করে বললেন- কি ভবছ??

ম্যানেজার হঠাৎ এই প্রশ্ন শুনে একটু চমকে উঠে বললেন- স্যার ভাবছি কি কি অনুষ্ঠান করা যায়???

আকিজ সাহেব বললেন- ভালো করে ভাবুন, ভেবে আমাকে বলুন।

ম্যানেজার হঠাৎ আকিজ সাহেবের দিকে এগিয়ে গিয়ে বললেন- স্যার দেখুন আমাদের টিভির সবচাইতে জনপ্রিয়া অনুষ্ঠান টক শো।

আকিজ সাহেব আবার একটু রিপোর্টের দিকে তাকালেন এবং বললেন- হু, তাইতো দেখছি। আপনি কি বলতে চাচ্ছেন যে আরো দু’ একটা টক শো বাড়িয়ে দিতে?

ম্যানেজার বললেন- স্যার টক শো চালানোর মতো মানুষতো নেই।

আকিজ সাহেব- কি বলতে চান?

ম্যানেজার- আমি বলতে চাচ্ছি যে, এখন দেশে বুদ্ধিজীবর অভাব পড়েছে, এমনিতেই টিভি চ্যানেলেরে সংখ্যা অনেক বেশি। সব চ্যানেলেই টক শো হয়ে থাকে। তাদের বুকিং দিতে হলে ২ মাস আগ থেকেই যোগাযোগ করতে হয়। আবার তারা যে পেমেন্ট চায় তা অনেক বেশি। দেখেন না আমাদের অনেক এমপি মন্ত্রী টক শোর টাকা দিয়েই বাড়ি গাড়ি করে ফেলেছে।

আকিজ সাহেব বললেন- তাহলে কি করার?

ম্যানেজার বললেন – একটু বুদ্ধি আছে আমার কাছে।

আকিজ সাহেব- কি বুদ্ধি?

ম্যানেজার- স্যার আমাদের দেশের রাজনীতিবিদরাতো ইদানিং অনেক বেশি কথা বলা শুরু করছে। এর মধ্যে কাজের কথার চাইতে বেফাস কথার সংখ্যাই অনেক বেশি। এই গুলো বিশ্লেষণ করার জন্য দেশে তেমন বুদ্ধিজীবি নেই যারা টিভিতে এসে বলবে। এখন আমার বুদ্ধি হচ্ছে আমার নাচ-গানের সেলিব্রেটি শো বন্ধ করে বুদ্ধিজীবি হার্ন্ট নামে একটি সেলিব্রেটি শোর আয়োজন করতে পারি। যেখানে আমরা দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে থাকা চাপাবাজ বুদ্ধিজীবি খুঁজে বেরকরতে পারব।

আকিজ সাহেব ম্যানেজারের এই বুদ্ধি শুনে একটু নড়ে চড়ে বসলেন এবং বললেন- ভালইতো বলেছেন!!!

ম্যানেজার বললেন- এই শেষ না আরো আছে।

আকিজ সাহেব- আর কি বাকি আছে তারাতারি বলুন, আজ আবার জরিনার বার্থডে সেখানে যেতে হবে।

ম্যানেজার- স্যার, আমরা এই বুদ্ধিজীবী যখন নির্বাচন করব তখন তাদের দিয়ে সমসাময়িক বিষয়গুলোকে বিশ্লেষণ করাব। তাতে এক সাথে দুইটা জিনিস হবে। আমাদের সেলিব্রেটি শোও হবে আবার আমাদের টক শোও চলবে। আবার আমরা যাদের নির্বাচিত করব তাদের সাথে আমাদের একটা চুক্তি থাকবে যে – তার যে কোন চ্যানেলেই অনুষ্ঠান করুক না কেন সেখানে তাদের যে পেমেন্ট দেয়া হবে তার থেকে ১০% আমাদের দিতে হবে এবং আমাদের টিভি চ্যানেলের টক শো ফ্রিতে করতে হবে। তাছাড়া স্যার আরো অনেক উপায় আছে টাকা কামানোর। এই যেমন ধরুন স্পন্সর আবার এস এম এস ভোট , সেখান থেকেও আমার টাকা পাব।

আকিজ সাহেব মুখে এই বার হাটি ফুটেছে। তিনি খুশি হয়ে বললেন- এই জন্যই তুমি আমার ম্যানেজার। যাও সব কিছুর আয়োজন কর।

ম্যানেজার বললেন- ঠক আছে স্যার।

আকিজ সাহেব বললেন তাহলে আজ মিটিং এখানেই খতম। পরে আবার দেখা হবে বলে আকিজ সাহেব উঠে চলে গেলেন।

আকিজ সাহেবের টিভি চ্যানেল A to Z একটি বুদ্ধিজীবী অব দ্যা ইয়ার নামে একটি সেলিব্রেটি শো চালু করলেন। প্রায় এক বছর লাগিয়ে দিলেন একজন বুদ্ধিজীব খোজতে । এতে আকিজ সাহেবের টিভি চ্যানেলের ব্যবসাও ভাল হলো। বেশ কিছু টাকা তার ব্যাংকে জমেছে। তিনি এখন মহাখুশি।

A to Z টিভি চ্যানেলের মতো অন্যান্য চ্যানেল গুলো এই ধরনের সেলিব্রেটি শো চালু করতে চাইলে তিনি প্যাটেন্ট মামলা করেন। কারণ এই বুদ্ধিটা একমাত্র আকিজ সাহেবের টিভি চ্যানেলের জ্যই। তাই অন্যরা আর এই ধরনের অনুষ্ঠান করতে পারল না। আকিজ সাহের টিভি চ্যানেল একের পর এক বুদ্ধি জীবী উৎপাদন করতে থাকলেন এবং অন্যান টিভি চ্যানেল গুলো তার কাছ থেকে বুদ্ধিজীবি ধার নিতে থাকলেন।
.
লিখাঃ Asadur Rahman Hadi.

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

চিরসত্য

"আজ তুমি যাকে যেভাবে কষ্ট দিচ্ছো, ঠকাচ্ছো, অবহেলা করছো, ইমোশন নিয়ে খেলতেছো, প্রতারণা করছো। ভেবো না যে তুমি পার পেয়ে যাবে। অতটা সোজা মনে করো না। হঠাৎ কোন একদিন আসবে যেদিন তুমি ঠিক একই ভাবে কারোর দ্বারা কষ্ট পাবে, ঠকে যাবে, অবহেলিত হবে, প্রতারিত হবে। আর সেই দিনটা খুব বেশি দূরে নয়... অপেক্ষায় থেকো!! . জানো তো এই পৃথিবীটা কিন্তু গোল। এখানে তুমি যা করবে, যে অন্যায় করবে, যে পাপ করবে, তা ঠিক ঘুরেফিরে কোন একদিন তোমার কাছে চলে আসবেই। আসতে বাধ্য... তোমার কারণে যদি কারোর চোখ থেকে এই ফোটা পানিও পড়ে যায়, অপেক্ষায় থাকো কেউ একজন তোমার চোখ থেকে শত শত ফোটা পানি পড়ার কারণ হবে!! . দিনের পর দিন যার সাথে ভালোবাসার মিথ্যে অভিনয় করে আসতেছো। একটু একটু করে একটা মানুষের বিশ্বাস নিয়ে মন মতো খেলতেছো। অথচ ও পাশের মানুষটা তোমার ছলনা কিছুই বুঝতে পারেনি, তাই বলে ভেবো না তুমি জিতে গেছো। অপেক্ষা করো একই ভাবে কেউ না কেউ তোমার ভালোবাসা নিয়ে মিথ্যে অভিনয় করে যাবে, তোমার বিশ্বাস নিয়ে খেলবে!! . আমি নিজেও এটা খেয়াল করেছি।  যদি কখনো কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করেছি তো অন্য কোন দিন কেউ একজন তারচেয়েও বেশি খারাপ ব্যবহ

★মিষ্টি ঝগড়া★

- তোমার তো এখানে বসে থাকার কথা ছিলনা!! তবে এখানে কেন বসে আছো? হাদী কে শাসানোর মতো করে কথা গুলো বলতে থাকে অধরা। পাক্কা ১৫ মিনিট ধরে পুরো পার্ক তন্ন তন্ন করে হাদী কে খুজেছে অধরা। দু'জনের দেখা করার কথা ছিলো পার্কের অন্য কোনায় যেখানে অনেক গুলো ফুল গাছ আছে। লাল রঙের ফুল অধরার খুব পছন্দ। হাদী অধরা কে সবসময় লাল রঙের ফুল দিয়েই প্রপোজ করে। পার্কে আসলে যখনই অধরার অভিমান হয় তখন-ই গাছ থেকে একটা লাল ফুল এনে অধরাকে দেয়। আজ সে ধরনের কোনো সুযোগ নেই। অধরার দিকে না তাকিয়েই হাদী জবাব দিতে থাকে। - এখানে অনেক ঘাস আছে তাই বসে আছি। - তুমি কি ছাগল যে ঘাস দেখে বসতে হবে? -আমি ঘাস দেখে বসিনি, ঘাসের উপর বসে আছি। চাইলে তুমিও বসতে পার। - আমি তোমার মত ছাগল না। -আমি জানি তুমি ছাগল না। ছাগলের স্ত্রী লিঙ্গ ছাগী। - কি আমাকে তুমি ছাগী বললে!!!!???? -এখনো বলিনি, তবে ছাগলের বউ ছাগীই হয়। - আমি তোমার বউ না। - আমি তো বলিনি তুমি আমার বউ। - এতো কথা প্যাঁচাও ক্যান? তুমি একটা রামছাগল। - রামছাগলের দাড়ি থাকে। আমি একদম ক্লিন শেভ। - ওহ অসহ্য!!! কেনো যে তোমার মত ইডিয়েটের সাথে প্রেম করি? - আমরা প্রেম করছি না। আমরা

♥ঝগড়াটে মিষ্টি বউ♥

– এই যে মিস্টার বাদাম . কথাটা শুনে বন্ধ মুখ টা হা হয়ে গেলো। পার্কের টুলে বসে বসে বাদাম খাচ্ছি। এমন সময় মেয়েলী কন্ঠে এমন ডাক। এটা নিশ্চই কল্পনার বাইরে। . – এই আমার নাম আছে। আর আপনি অাগন্তুক কোথা থেকে এসে আমাকে মিস্টার বাদাম বলছেন?? – অামি অাপনার নাম জানি না তাই বাদাম খাচ্ছেন দেখে ওটা বললাম। – মাথায় সমস্যা??? – থাকতেও পারে। – ওই অাপনি অামাকে পাগল ভাবছেন?? – হতেও তো পারেন। – অাপনাকে অাপনাকে – কি?? – অামার মাথা। – তো এটা বলতে এরকম করা লাগে?? – ওহহ এই অাপনি কে?? – এতক্ষন যার সাথে ঝগড়া করছেন. – ও মোর খোদা অামারে উঠাই নাও না ক্যান। – দাড়ি বা মই কিছু তো খোদায় দিলো না উঠবেন কি করে?? – অাপনি কি পাবনা থেকে এসেছেন?? – মরতে যাবো পাবনা?? – তো অামাকে মারতে অাসছেন কেন?? – মারতে অাসলে তো সেই কখন মেরে ফেলতাম। – তো কেন এসেছেন?? – অাপনাকে নিতে। – কোথায়?? – পাবনায়। – অাপনার মাথায় সমস্যা অাপনি যান। – অাসুন তো। – কোথায়?? – অামার সাথে। – দেখুন অামার একজনের সাথে দেখা করার কথা। – লাগবেনা সেটা। – অাপনাকে অামি চিনিনা অাপনার সাথে কোথায় যাবো?? – এতক্ষন কথা বলার পরও অচেনা?? – হুমম