সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

কিছু কথা

টিউশনির টাকা জমিয়ে যে মানুষটা আপনাকে সারপ্রাইজ দেয় কিংবা খুশি করে, সেই মানুষটা আর যাই হোক আপনার সাথে মিথ্যে ভালোবাসার অভিনয় করে না!!

শত ব্যস্ততার মাঝে থেকেও যে ঠিকমতো আপনার খোঁজখবর রাখে কিংবা আপনার ফোন কখনো ব্যস্ততা দেখিয়ে কেটে দেয় না, সেই মানুষটা আর যাই করুক না কেনো আপনাকে কখনো ঠকাবে না!!

যে মেয়েটা শাড়ি পড়তে চায় না অথচ আপনার পছন্দের জন্য কষ্ট করে শাড়ি পড়ে, চোখের নিচে কাজল টানে কিংবা আপনার পছন্দমতো সেজেগুজে বের হয়, বিশ্বাস করুন সেই মেয়েটার ভালোবাসার মাঝে কোনো ছলনা নেই!!

যে ছেলেটা সিগারেট ছাড়া থাকতে পারতো না, সেও যদি আপনার কথায় সিগারেট ছেড়ে দেয় কিংবা অগোছালো জীবনটা গুছিয়ে নিতে চেষ্টা করে, তবে মনে রাখুন সেই ছেলেটা আপনাকে কখনো ধোকা দিবে না!!

তোমার শত অপরাধ থাকার পরেও যে মানুষটা বার বার নিজে আগে সরি বলে তোমাকে জিতিয়ে দেয় শুধুমাত্র তোমার মুখের হাসির জন্য কিংবা সম্পর্কটা ঠিক রাখার জন্য, সেই মানুষটা আর যাই করুক কখনো তোমার মন ভাঙ্গবে না!!

তোমার অযথা বকবকানি শুনে যে মানুষটা বিরক্ত হয় না কিংবা তোমার রাগ ভাঙাতেও যে ক্লান্ত হয় না বরং ভালোবেসেই যায়। সেই মানুষটা যাই করুক কখনো তোমার বিশ্বাসঘাতকতা করবে না!!

বিশ্বাস করুণ এমন টাইপের মানুষ কিন্তু বারবার আসে না। এরা বারবার জন্ম নেয় না। সবার কপালে এমন মানুষের নাম লিখা থাকে না।
যদি এমন কেউ আপনার জীবনে থাকে, তাহলে তাকে মূল্য দিতে শিখুন। ভুলেও অবহেলা করবেন না। কারণ আপনার অবহেলায় হয়তো অন্য কেউ এদের ভালোবাসার দামে কিনে নিবে!!
.
লিখাঃ Asadur Rahman Hadi.

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

চিরসত্য

"আজ তুমি যাকে যেভাবে কষ্ট দিচ্ছো, ঠকাচ্ছো, অবহেলা করছো, ইমোশন নিয়ে খেলতেছো, প্রতারণা করছো। ভেবো না যে তুমি পার পেয়ে যাবে। অতটা সোজা মনে করো না। হঠাৎ কোন একদিন আসবে যেদিন তুমি ঠিক একই ভাবে কারোর দ্বারা কষ্ট পাবে, ঠকে যাবে, অবহেলিত হবে, প্রতারিত হবে। আর সেই দিনটা খুব বেশি দূরে নয়... অপেক্ষায় থেকো!! . জানো তো এই পৃথিবীটা কিন্তু গোল। এখানে তুমি যা করবে, যে অন্যায় করবে, যে পাপ করবে, তা ঠিক ঘুরেফিরে কোন একদিন তোমার কাছে চলে আসবেই। আসতে বাধ্য... তোমার কারণে যদি কারোর চোখ থেকে এই ফোটা পানিও পড়ে যায়, অপেক্ষায় থাকো কেউ একজন তোমার চোখ থেকে শত শত ফোটা পানি পড়ার কারণ হবে!! . দিনের পর দিন যার সাথে ভালোবাসার মিথ্যে অভিনয় করে আসতেছো। একটু একটু করে একটা মানুষের বিশ্বাস নিয়ে মন মতো খেলতেছো। অথচ ও পাশের মানুষটা তোমার ছলনা কিছুই বুঝতে পারেনি, তাই বলে ভেবো না তুমি জিতে গেছো। অপেক্ষা করো একই ভাবে কেউ না কেউ তোমার ভালোবাসা নিয়ে মিথ্যে অভিনয় করে যাবে, তোমার বিশ্বাস নিয়ে খেলবে!! . আমি নিজেও এটা খেয়াল করেছি।  যদি কখনো কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করেছি তো অন্য কোন দিন কেউ একজন তারচেয়েও বেশি খারাপ ব্যবহ

★মিষ্টি ঝগড়া★

- তোমার তো এখানে বসে থাকার কথা ছিলনা!! তবে এখানে কেন বসে আছো? হাদী কে শাসানোর মতো করে কথা গুলো বলতে থাকে অধরা। পাক্কা ১৫ মিনিট ধরে পুরো পার্ক তন্ন তন্ন করে হাদী কে খুজেছে অধরা। দু'জনের দেখা করার কথা ছিলো পার্কের অন্য কোনায় যেখানে অনেক গুলো ফুল গাছ আছে। লাল রঙের ফুল অধরার খুব পছন্দ। হাদী অধরা কে সবসময় লাল রঙের ফুল দিয়েই প্রপোজ করে। পার্কে আসলে যখনই অধরার অভিমান হয় তখন-ই গাছ থেকে একটা লাল ফুল এনে অধরাকে দেয়। আজ সে ধরনের কোনো সুযোগ নেই। অধরার দিকে না তাকিয়েই হাদী জবাব দিতে থাকে। - এখানে অনেক ঘাস আছে তাই বসে আছি। - তুমি কি ছাগল যে ঘাস দেখে বসতে হবে? -আমি ঘাস দেখে বসিনি, ঘাসের উপর বসে আছি। চাইলে তুমিও বসতে পার। - আমি তোমার মত ছাগল না। -আমি জানি তুমি ছাগল না। ছাগলের স্ত্রী লিঙ্গ ছাগী। - কি আমাকে তুমি ছাগী বললে!!!!???? -এখনো বলিনি, তবে ছাগলের বউ ছাগীই হয়। - আমি তোমার বউ না। - আমি তো বলিনি তুমি আমার বউ। - এতো কথা প্যাঁচাও ক্যান? তুমি একটা রামছাগল। - রামছাগলের দাড়ি থাকে। আমি একদম ক্লিন শেভ। - ওহ অসহ্য!!! কেনো যে তোমার মত ইডিয়েটের সাথে প্রেম করি? - আমরা প্রেম করছি না। আমরা

♥ঝগড়াটে মিষ্টি বউ♥

– এই যে মিস্টার বাদাম . কথাটা শুনে বন্ধ মুখ টা হা হয়ে গেলো। পার্কের টুলে বসে বসে বাদাম খাচ্ছি। এমন সময় মেয়েলী কন্ঠে এমন ডাক। এটা নিশ্চই কল্পনার বাইরে। . – এই আমার নাম আছে। আর আপনি অাগন্তুক কোথা থেকে এসে আমাকে মিস্টার বাদাম বলছেন?? – অামি অাপনার নাম জানি না তাই বাদাম খাচ্ছেন দেখে ওটা বললাম। – মাথায় সমস্যা??? – থাকতেও পারে। – ওই অাপনি অামাকে পাগল ভাবছেন?? – হতেও তো পারেন। – অাপনাকে অাপনাকে – কি?? – অামার মাথা। – তো এটা বলতে এরকম করা লাগে?? – ওহহ এই অাপনি কে?? – এতক্ষন যার সাথে ঝগড়া করছেন. – ও মোর খোদা অামারে উঠাই নাও না ক্যান। – দাড়ি বা মই কিছু তো খোদায় দিলো না উঠবেন কি করে?? – অাপনি কি পাবনা থেকে এসেছেন?? – মরতে যাবো পাবনা?? – তো অামাকে মারতে অাসছেন কেন?? – মারতে অাসলে তো সেই কখন মেরে ফেলতাম। – তো কেন এসেছেন?? – অাপনাকে নিতে। – কোথায়?? – পাবনায়। – অাপনার মাথায় সমস্যা অাপনি যান। – অাসুন তো। – কোথায়?? – অামার সাথে। – দেখুন অামার একজনের সাথে দেখা করার কথা। – লাগবেনা সেটা। – অাপনাকে অামি চিনিনা অাপনার সাথে কোথায় যাবো?? – এতক্ষন কথা বলার পরও অচেনা?? – হুমম