মেয়েরা সহজে কাউকে প্রোপোজ করে না, অথচ ভিতরে শুরু হওয়া কারো প্রতি ক্রাশের গল্পটা ধীরে ধীরে ভালোলাগায় বদলে যায়। সেখান উথাল পাথাল ভালোবাসার ঢেউ সৃষ্টি হয়।
তবুও কি এক অদ্ভুত ক্ষমতায় সেটা তারা চেপে ধরে রাখতে পারে, গোপন করতে পারে যেকোন মূহুর্তে।
কিন্তু কখনও যদি কোন মেয়ে তার নিজের সবটুকু নারীত্বের ইগো বিসর্জন দিয়ে কোন ছেলেকে প্রোপোজ করে বসে, এবং ছেলেটি যদি রিফিউজ করে, তবে এই ইহজনমেও ছেলেটিকে সে ভুলতে পারে না।
ছেলেদের ক্ষেত্রে প্রোপোজ করাটা মেয়েদের মত অত জটিল কিছু না।
কারো প্রতি আবেগটা ক্রাশ, ভালোলাগা নাকি সাময়িক ইনফ্রাচুয়েশন সেটা বোঝার আগেই দুমদাম প্রোপোজ করে বসে।
আর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ছেলেরা প্রোপোজ করার পর রিফিউজড হয় বলে সহ্য করার একটা অভ্যাস অনেক আগে থেকেই তৈরী হয়ে যায়।
তাই দুইদিন মন খারাপ করে পরেরদিন আবার ঠিকই পাশের বাড়ির রীতা কিংবা ক্লাশের স্পর্শীয়ার দিকে হৃদয়ের দিক সরিয়ে নেয়।
তবে কিছু মানুষ থাকে। যাদের খুব কাছে কেউ থাকলেও বুঝতে পারে না যে তাকে ভালোবাসে কিনা, তার প্রতি একটু দম আটকানো অসহ্য অনুভূতিগুলো এক কোনায় জমা আছে কি না কারন প্রকাশ হয় না কিছুই।
প্রকাশ হয় সেই কাছের মানুষটা দূরে সরে গেলে।বোঝা যায়,, বড় অদ্ভুত একটা ভালোবাসার চারাগাছ তারমধ্যে বেড়ে উঠেছিলো।
"যে ভালোবাসা কাছে থাকলে ঝাপসা হয়ে যায়, কিন্তু দূরে গেলেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে।"
.
লিখাঃ Asadur Rahman Hadi.