সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

★অসহায়★

"একটা সম্পর্ক যখন একজনের কারণে ভেঙে যায়, তখন অপর মানুষটা বড্ড অসহায় হয়ে পরে... চাইলেও কিছু করা যায় না, বাস্তবতার কাছে হার মেনে নিতে হয় !!
.
যে মানুষটা সম্পর্ক ভেঙে চলে যায়, সে জানে না অপর মানুষটাকে কতটা আঘাত দিয়ে সে চলে গেলো... কতটা একা করে চলে গেলো... মানুষটা কখনো বুঝবে না স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রণা কতটা কঠিন হতে পারে... মন ভাঙার যন্ত্রণা কতটা ভয়াবহ হতে পারে !!
.
সম্পর্ক বিচ্ছেদের পর মানুষ যতটা কষ্ট পায়, তার থেকে বেশি কষ্ট পায় হারানো মানুষটার উপর অধিকার হারিয়ে ফেলার কারনে... কারণ বিচ্ছেদ শুধু মানুষটাকেই দূরে রাখেনা, মানুষটার সাথে সমস্ত অধিকারটুকুও কেড়ে নিয়ে যায় !!
.
যে মানুষটার সাথে নিয়মিত কথা হতো, এখন আর কথা হবে না... যাকে যখন তখন ফোন দেয়া যেতো, এখন সেই অধিকার নাই... যাকে যখন তখন দেখা করার জন্য বলা যেতো, এখন সেই সুযোগ নেই... কারণে অকারণে যার সাথে নিয়ম করে মান-অভিমান কিংবা ঝগড়া করা যেতো, এখন মানুষটা অন্য কাউকে নিয়ে ব্যস্ত !!
.
প্রিয় মানুষটাকে হারিয়ে ফেলার কারণে মানুষ যতটা কাঁদে, তার থেকে বেশি কাঁদে মানুষটার উপর সম্পূর্ণ অধিকারটুকু হারিয়ে ফেলার কারনে... যাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতো, একসাথে বাঁচতে চাইতো, এখন ঐ মানুষটাকে নিয়ে নতুন কোনো স্বপ্ন দেখতে পারবে না, একসাথে বাঁচতে পারবে না... মানুষটা হয়ে যায় অন্য কারো !!
.
যে মানুষটার উপর একবার অধিকার পাওয়া যায়, যাকে নিজের মতো করে বানিয়ে নিয়ে কাছে রাখা যায়, সেই মানুষটার উপর অধিকার হারিয়ে ফেলার যন্ত্রণা কঠিন... পছন্দের মানুষটাকে না পেলে খুব একটা কষ্ট হয় না, যতটা কষ্ট হয় মানুষটাকে পেয়ে আবার হারিয়ে ফেললে... না পাওয়ার যন্ত্রণার চেয়ে পেয়ে হারানোর যন্ত্রণা কঠিন !!
.
মানুষটা সাথে নেই এটা মানতে যতটা কষ্ট হয়, তার থেকে বেশি কষ্ট হয় মানুষটা অন্য কারোর সাথে আছে... যে আগে সবকিছু শেয়ার করতো, এখন সে অন্য কাউকে শেয়ার করবে... মানুষটা চলে গিয়ে একা থাকুক এটা মেনে নেয়া গেলেও, মানুষটা অন্য কারোর সাথে থাকবে এটা মেনে নেয়া যায় না !!
.
জীবন থেকে প্রিয় মানুষটা চলে গেলে শুধু মানুষটাই যায় না, মনের মধ্যে তার জায়গাটাও নিয়ে যায়... বাহ্যিক দৃষ্টিতে নতুন কেউ এসে শূন্যস্থান পূরণ করে দেয়, কিন্তু মনের শূন্যস্থান কেউই পূরণ করতে পারে না, সম্ভব নয়... মনের শূন্যস্থান অপূরণীয় !!"

লিখাঃ Asadur Rahman Hadi.

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

চিরসত্য

"আজ তুমি যাকে যেভাবে কষ্ট দিচ্ছো, ঠকাচ্ছো, অবহেলা করছো, ইমোশন নিয়ে খেলতেছো, প্রতারণা করছো। ভেবো না যে তুমি পার পেয়ে যাবে। অতটা সোজা মনে করো না। হঠাৎ কোন একদিন আসবে যেদিন তুমি ঠিক একই ভাবে কারোর দ্বারা কষ্ট পাবে, ঠকে যাবে, অবহেলিত হবে, প্রতারিত হবে। আর সেই দিনটা খুব বেশি দূরে নয়... অপেক্ষায় থেকো!! . জানো তো এই পৃথিবীটা কিন্তু গোল। এখানে তুমি যা করবে, যে অন্যায় করবে, যে পাপ করবে, তা ঠিক ঘুরেফিরে কোন একদিন তোমার কাছে চলে আসবেই। আসতে বাধ্য... তোমার কারণে যদি কারোর চোখ থেকে এই ফোটা পানিও পড়ে যায়, অপেক্ষায় থাকো কেউ একজন তোমার চোখ থেকে শত শত ফোটা পানি পড়ার কারণ হবে!! . দিনের পর দিন যার সাথে ভালোবাসার মিথ্যে অভিনয় করে আসতেছো। একটু একটু করে একটা মানুষের বিশ্বাস নিয়ে মন মতো খেলতেছো। অথচ ও পাশের মানুষটা তোমার ছলনা কিছুই বুঝতে পারেনি, তাই বলে ভেবো না তুমি জিতে গেছো। অপেক্ষা করো একই ভাবে কেউ না কেউ তোমার ভালোবাসা নিয়ে মিথ্যে অভিনয় করে যাবে, তোমার বিশ্বাস নিয়ে খেলবে!! . আমি নিজেও এটা খেয়াল করেছি।  যদি কখনো কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করেছি তো অন্য কোন দিন কেউ একজন তারচেয়েও বেশি খারাপ ব্যবহ

★মিষ্টি ঝগড়া★

- তোমার তো এখানে বসে থাকার কথা ছিলনা!! তবে এখানে কেন বসে আছো? হাদী কে শাসানোর মতো করে কথা গুলো বলতে থাকে অধরা। পাক্কা ১৫ মিনিট ধরে পুরো পার্ক তন্ন তন্ন করে হাদী কে খুজেছে অধরা। দু'জনের দেখা করার কথা ছিলো পার্কের অন্য কোনায় যেখানে অনেক গুলো ফুল গাছ আছে। লাল রঙের ফুল অধরার খুব পছন্দ। হাদী অধরা কে সবসময় লাল রঙের ফুল দিয়েই প্রপোজ করে। পার্কে আসলে যখনই অধরার অভিমান হয় তখন-ই গাছ থেকে একটা লাল ফুল এনে অধরাকে দেয়। আজ সে ধরনের কোনো সুযোগ নেই। অধরার দিকে না তাকিয়েই হাদী জবাব দিতে থাকে। - এখানে অনেক ঘাস আছে তাই বসে আছি। - তুমি কি ছাগল যে ঘাস দেখে বসতে হবে? -আমি ঘাস দেখে বসিনি, ঘাসের উপর বসে আছি। চাইলে তুমিও বসতে পার। - আমি তোমার মত ছাগল না। -আমি জানি তুমি ছাগল না। ছাগলের স্ত্রী লিঙ্গ ছাগী। - কি আমাকে তুমি ছাগী বললে!!!!???? -এখনো বলিনি, তবে ছাগলের বউ ছাগীই হয়। - আমি তোমার বউ না। - আমি তো বলিনি তুমি আমার বউ। - এতো কথা প্যাঁচাও ক্যান? তুমি একটা রামছাগল। - রামছাগলের দাড়ি থাকে। আমি একদম ক্লিন শেভ। - ওহ অসহ্য!!! কেনো যে তোমার মত ইডিয়েটের সাথে প্রেম করি? - আমরা প্রেম করছি না। আমরা

♥ঝগড়াটে মিষ্টি বউ♥

– এই যে মিস্টার বাদাম . কথাটা শুনে বন্ধ মুখ টা হা হয়ে গেলো। পার্কের টুলে বসে বসে বাদাম খাচ্ছি। এমন সময় মেয়েলী কন্ঠে এমন ডাক। এটা নিশ্চই কল্পনার বাইরে। . – এই আমার নাম আছে। আর আপনি অাগন্তুক কোথা থেকে এসে আমাকে মিস্টার বাদাম বলছেন?? – অামি অাপনার নাম জানি না তাই বাদাম খাচ্ছেন দেখে ওটা বললাম। – মাথায় সমস্যা??? – থাকতেও পারে। – ওই অাপনি অামাকে পাগল ভাবছেন?? – হতেও তো পারেন। – অাপনাকে অাপনাকে – কি?? – অামার মাথা। – তো এটা বলতে এরকম করা লাগে?? – ওহহ এই অাপনি কে?? – এতক্ষন যার সাথে ঝগড়া করছেন. – ও মোর খোদা অামারে উঠাই নাও না ক্যান। – দাড়ি বা মই কিছু তো খোদায় দিলো না উঠবেন কি করে?? – অাপনি কি পাবনা থেকে এসেছেন?? – মরতে যাবো পাবনা?? – তো অামাকে মারতে অাসছেন কেন?? – মারতে অাসলে তো সেই কখন মেরে ফেলতাম। – তো কেন এসেছেন?? – অাপনাকে নিতে। – কোথায়?? – পাবনায়। – অাপনার মাথায় সমস্যা অাপনি যান। – অাসুন তো। – কোথায়?? – অামার সাথে। – দেখুন অামার একজনের সাথে দেখা করার কথা। – লাগবেনা সেটা। – অাপনাকে অামি চিনিনা অাপনার সাথে কোথায় যাবো?? – এতক্ষন কথা বলার পরও অচেনা?? – হুমম