সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মে, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

অভিমানী নিলাম্বড়ী

- কি রান্না করছো এইগুলো?? এসব মানুষ খায়??? কি শিখছো জীবনে??? এখনও রান্নাও করতে পারোনা... যত্তসব!!!! "এমনি আনলিমিটেড ভাবে ওকে কথাগুলো বললাম.....আসলে রান্নাটা অনেক ভালো হইছে কিন্তু আজকে ওর অভিমানী মুখটা দেখতে খুব ইচ্ছে হলো, তাই ইচ্ছে করেই এসব বলছি..... - এভাবে বলছো কেন?? আমিকি ইচ্ছে করে এমন করছি? - আমি কি জানি? করতেও পারো - তুমি এই কথাটা বলতে পারলে?( কান্নাজড়িত কন্ঠে ) - হ্যা পারলাম, কারন প্রতিদিন তোমার হাতের এসব বাজে খাবার আর ভালো লাগেনা। - তার মানে আমার রান্না তোমার কাছে কখনও ভালো লাগেনি?? ( এখনি কেদে দিবে মনে হয় ) - না লাগেনি, তুমি খাও এসব আমি গেলাম.... কিছুসময় পর কান্নার আওয়াজ শুনতে পেলাম। বুঝলাম নিলাম্ভরি কাদছে। ও হ্যা পরিচয়টাইতো দেওয়া হয়নি, আমি আদি। আমার বউ তাহমিনা, আদর করে নিলাম্ভরি ডাকি। আমাদের বিয়ে হয়েছে আজকে ৬মাস। বিয়ের আগে প্রেম করলেও পারিবারিক ভাবেই আমাদের বিয়েটা সম্পন্ন হয়। খুব সুখেই আছি দুজন। ঐদিকে ও কান্না করেই চলছে। আমিও চাই কাদুঁক, কাঁদতে কাঁদতে যেন ওর অভিমানের মাত্রা ১০০০ বোল্টের হয়..... যাইহোক রাতে আর খাওয়া হয়নি। জানি পাগলিটাও খায়নি....হঠাৎ কান্নার আওয

মায়াজাল

উফ, আর ভালো লাগছেনা অফিসে যেতে......... মনে মনে বলল হাদী। আর লাগবেও বা কিভাবে? অফিসে জয়েন করার পর তার সাথে যা ঘটছে রীতিমতো বিরক্তিকর। নতুন অফিসে ম্যানেজার হিসাবে জয়েন করার পরে দেখলো তার অফিসে যিনি এমডি তিনি আর আর কেউ নন তারই একসময়ের সহপাঠিনী স্পর্শীয়া। পরে বুঝতে পারলো স্পর্শীয়ার বাবাতো এই কোম্পানির চেয়ারম্যান আর সেই সুবাদে তার এই পজিশন। ভার্সিটি লাইফ থেকে স্পর্শীয়া তাকে পছন্দ করতো সেটা সে জানতো কিন্তু কখনো সেটা গায়ে লাগায়নি। এখনতো রীতিমতো স্পর্শীয়ার সাথে সারাক্ষন থাকতে হয়। মাঝে মাঝে যখন স্পর্শীয়ার দিকে তাকায় তখন দেখে স্পর্শীয়া তার দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তখন হাদীর অনেক অস্বস্তি বোধ করে। বড় ধরনের অঘটন ঘটেছে গত সপ্তাহে স্পর্শীয়ার জন্মদিনে। সেখানে স্পর্শীয়া হঠাৎ করে হাদীর নাম ঘোষণা করে গান গাওয়ার জন্য কারন স্পর্শীয়া জানতো হাদী ভালো গাইতে পারে। তাই অগত্যা গান গাইলো তাও মায়ের গান। হাদী গান গাওয়ার আগেই বলেছিলো আজকের দিনে যিনি এই পৃথিবীতে এসেছিলেন তার থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো সেই মা যার কারনে আজকে এই স্পর্শীয়া ম্যাডামকে আমরা পেয়েছি। সে মাকে নিয়ে আজকে আমার পরিবেশনা। অনেক আবেগ দিয়ে হাদী ম

ভালোবাসা II

যেদিন কলেজে প্রথম যাই সেদিন আমি নিশ্চুপ ছিলাম। তেমন কাউকে চিনি না। প্রথম কয়েকদিন ক্লাস হয়নি। এর কয়েক দিন ঠিকঠাক মত ক্লাস হচ্ছে। আমি একটু লাজুক টাইপের ছিলাম। হঠাত্‍ ক্লাস চলাকালীন সময়ে একটা মেয়ে আমার দিকে তাকিয়ে চোখ দিয়ে কি যেন করল। মানে চোখ টিপা মারল আরকি। আমি শরমে মাথা নিচু করে ফেললাম। মেয়েটার নাম স্পর্শীয়া। একদিন ক্যাম্পাসে হেটে যাচ্ছিলাম হঠাত্‍ হাম্বা বলে ডাক দিল। আমি বামে ডানে তাকিয়ে দেখি কেউ নেই তার মানে আমিই হাম্বা। আচ্ছা আমি কি গরু? বাসায় এসে নিজের কোমড়ের নিচে তাকিয়ে দেখলাম কই আমার তো লেজ নেই। আমার তো দুইটা শিং নেই তাহলে হাম্বা বলে ডাক দিল কেন? এই মেয়েটা একটা বদ মেয়ে। আমি কত ভদ্র ছেলে আর আমাকে হাম্বা বলে। এরপর থেকে স্পর্শীয়াকে দেখলেই নিজেকে আড়াল করে রাখতাম। কিন্তু মেয়েটার সামনে কিভাবে যেন হাজির হয়ে যেতাম। এবার আমাকে রামছাগল বলে ডাকল। আমি মাথা নিচু করে বললাম আপনি আমাকে দেখলে এই রকম করেন কেন? মাথা নিচু করে এজন্যই বললাম মেয়েদের চোখের দিকে তাকাতে পারি না। চোখের দিকে তাকাঁলে কলিজা ধুক ধুক করে আর বুকের মাঝে কম্পন তৈরি হয়। " আল্লাহ খোকা বাবু তুমি আমাকে আপনি করে বলতেছো? "দেখেন