সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

★অভিমান II★

- যখন জিন্সের মোটা মোটা প্যান্টগুলো নিজের হাতে কাঁচতে হবে তখন বুঝবা।
- আজ থেকে আর তোমার কাঁচতে হবেনা আমিই কাঁচব।
- মজার মজার রান্না কে করে খাওয়াবে? সেটা তো আর নিজে করতে পারবানা। যখন পেঁয়াজ কাটতে গিয়ে চোখ জ্বলবে তখন বুঝবা।
- রান্না করার খোঁটাও দাও এখন। ভুলে যেওনা চার বছর মেসে থাকার অভিজ্ঞতা আছে আমার। কাল থেকে আমার রান্না আমিই করবো। তোমার আর করতে হবেনা।
- এগুলা নাহয় বাদ দিলাম। আমাকে ছাড়া যে তোমার ঘুম হয়না। তখন তো পাগলের মত হয়ে যাও।
- এটাও সমস্যা? ওকে তাহলে কাল থেকে রাতে আর বাসায় ফিরব না। তাহলেই তো সমস্যা সমাধান হয়ে যায়।
- আমাকে ছাড়া ভাল থাকতে পারবা?
- ভাল থাকার অভিনয় তো জন্ম থেকেই করে আসছি। আর এখন পারবো না?
- ঠিকাছে ঠিকাছে কালকেই চলে যাবো। আমাকে তো আর কারো এখন প্রয়োজন নেই। একা একাই সব করতে পারে।
- কথাগুলো শুনতে এখন আর খারাপ লাগেনা লাল মরিচের গুঁড়ায় যদি কাঁচা মরিচ দেয়া হয় তাহলে লাল মরিচের ব্যাথা লাগেনা।
- এতো কথা প্যাঁচানোর কিছু নেই। বুঝি সব বুঝি।
- ঠিকমত কাঁদতেই পারনা তাহলে কাঁদার কি দরকার? কই! চোখ দিয়ে তো একটুও পানি পরেনা।
- তাতে তোমার কি? আমি কাঁদলেই কি? হাসলেই কি? তোমার কি কিছু যায় আসে?
- না তুমি তো কাঁদতেই পারনা। শুধু বাচ্চাদের মত ওয়াঁওয়াঁ শব্দ করো। টিস্যুটুকু নাও নাহলে পরে তোমার কাজল নষ্ট হয়ে যাবে। আর কাজল নষ্ট হয়ে গেলে তোমাকে যা বিচ্ছিরী লাগে।
- অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
- তোমার চোখগুলো কিন্তু আমার নামে দলীল করা। তুমি কালকে চলে গেলে আমার চোখ গুলো রেখে যাবা।
চোখগুলো না দেখলে আমার হার্ট কাজ করেনা।
- হ্যাঁ সেজন্যই তো আমাকে তাড়িয়ে দিচ্ছ।
- দেখ আর যাই বল এই অপবাদ আমাকে দিয়না এটা সহ্য করতে পারবনা।
- নিজের প্যান্ট কাঁচবা, রান্না করবা, রাতে বাসায় ফিরবা না। এগুলো করা মানে তো তাড়িয়ে দেয়াই।
- না মানে যাই করি সেটাতেই সমস্যা? তুমি খোঁটা দিবা আর আমি বললেই দোষ? ধুর থাক তুমি আমি গেলাম।
- তোমার সাথে ঝগড়া করার দিনগুলি খুব মিস করছিলাম তাই আবার আজকে ইচ্ছে করে ঝগড়া করলাম। চোখ দিয়ে পানি বেরোবে কিভাবে হিহি?
- খুব ভাল করছেন ম্যাম। এখন ফুটপাতে গিয়ে আমি ঘুমাই?
- এত রাগ কেন তোমার হুম? রাগ কি আমার কম আছে নাকি? তোমার ইচ্ছে হলে জাহান্নামে যাও কিন্তু আমার বরটাকে আমার কাছে দিয়ে যাও।
.

লিখাঃ Asadur Rahman Hadi.

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

চিরসত্য

"আজ তুমি যাকে যেভাবে কষ্ট দিচ্ছো, ঠকাচ্ছো, অবহেলা করছো, ইমোশন নিয়ে খেলতেছো, প্রতারণা করছো। ভেবো না যে তুমি পার পেয়ে যাবে। অতটা সোজা মনে করো না। হঠাৎ কোন একদিন আসবে যেদিন তুমি ঠিক একই ভাবে কারোর দ্বারা কষ্ট পাবে, ঠকে যাবে, অবহেলিত হবে, প্রতারিত হবে। আর সেই দিনটা খুব বেশি দূরে নয়... অপেক্ষায় থেকো!! . জানো তো এই পৃথিবীটা কিন্তু গোল। এখানে তুমি যা করবে, যে অন্যায় করবে, যে পাপ করবে, তা ঠিক ঘুরেফিরে কোন একদিন তোমার কাছে চলে আসবেই। আসতে বাধ্য... তোমার কারণে যদি কারোর চোখ থেকে এই ফোটা পানিও পড়ে যায়, অপেক্ষায় থাকো কেউ একজন তোমার চোখ থেকে শত শত ফোটা পানি পড়ার কারণ হবে!! . দিনের পর দিন যার সাথে ভালোবাসার মিথ্যে অভিনয় করে আসতেছো। একটু একটু করে একটা মানুষের বিশ্বাস নিয়ে মন মতো খেলতেছো। অথচ ও পাশের মানুষটা তোমার ছলনা কিছুই বুঝতে পারেনি, তাই বলে ভেবো না তুমি জিতে গেছো। অপেক্ষা করো একই ভাবে কেউ না কেউ তোমার ভালোবাসা নিয়ে মিথ্যে অভিনয় করে যাবে, তোমার বিশ্বাস নিয়ে খেলবে!! . আমি নিজেও এটা খেয়াল করেছি।  যদি কখনো কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করেছি তো অন্য কোন দিন কেউ একজন তারচেয়েও বেশি খারাপ ব্যবহ

★মিষ্টি ঝগড়া★

- তোমার তো এখানে বসে থাকার কথা ছিলনা!! তবে এখানে কেন বসে আছো? হাদী কে শাসানোর মতো করে কথা গুলো বলতে থাকে অধরা। পাক্কা ১৫ মিনিট ধরে পুরো পার্ক তন্ন তন্ন করে হাদী কে খুজেছে অধরা। দু'জনের দেখা করার কথা ছিলো পার্কের অন্য কোনায় যেখানে অনেক গুলো ফুল গাছ আছে। লাল রঙের ফুল অধরার খুব পছন্দ। হাদী অধরা কে সবসময় লাল রঙের ফুল দিয়েই প্রপোজ করে। পার্কে আসলে যখনই অধরার অভিমান হয় তখন-ই গাছ থেকে একটা লাল ফুল এনে অধরাকে দেয়। আজ সে ধরনের কোনো সুযোগ নেই। অধরার দিকে না তাকিয়েই হাদী জবাব দিতে থাকে। - এখানে অনেক ঘাস আছে তাই বসে আছি। - তুমি কি ছাগল যে ঘাস দেখে বসতে হবে? -আমি ঘাস দেখে বসিনি, ঘাসের উপর বসে আছি। চাইলে তুমিও বসতে পার। - আমি তোমার মত ছাগল না। -আমি জানি তুমি ছাগল না। ছাগলের স্ত্রী লিঙ্গ ছাগী। - কি আমাকে তুমি ছাগী বললে!!!!???? -এখনো বলিনি, তবে ছাগলের বউ ছাগীই হয়। - আমি তোমার বউ না। - আমি তো বলিনি তুমি আমার বউ। - এতো কথা প্যাঁচাও ক্যান? তুমি একটা রামছাগল। - রামছাগলের দাড়ি থাকে। আমি একদম ক্লিন শেভ। - ওহ অসহ্য!!! কেনো যে তোমার মত ইডিয়েটের সাথে প্রেম করি? - আমরা প্রেম করছি না। আমরা

♥ঝগড়াটে মিষ্টি বউ♥

– এই যে মিস্টার বাদাম . কথাটা শুনে বন্ধ মুখ টা হা হয়ে গেলো। পার্কের টুলে বসে বসে বাদাম খাচ্ছি। এমন সময় মেয়েলী কন্ঠে এমন ডাক। এটা নিশ্চই কল্পনার বাইরে। . – এই আমার নাম আছে। আর আপনি অাগন্তুক কোথা থেকে এসে আমাকে মিস্টার বাদাম বলছেন?? – অামি অাপনার নাম জানি না তাই বাদাম খাচ্ছেন দেখে ওটা বললাম। – মাথায় সমস্যা??? – থাকতেও পারে। – ওই অাপনি অামাকে পাগল ভাবছেন?? – হতেও তো পারেন। – অাপনাকে অাপনাকে – কি?? – অামার মাথা। – তো এটা বলতে এরকম করা লাগে?? – ওহহ এই অাপনি কে?? – এতক্ষন যার সাথে ঝগড়া করছেন. – ও মোর খোদা অামারে উঠাই নাও না ক্যান। – দাড়ি বা মই কিছু তো খোদায় দিলো না উঠবেন কি করে?? – অাপনি কি পাবনা থেকে এসেছেন?? – মরতে যাবো পাবনা?? – তো অামাকে মারতে অাসছেন কেন?? – মারতে অাসলে তো সেই কখন মেরে ফেলতাম। – তো কেন এসেছেন?? – অাপনাকে নিতে। – কোথায়?? – পাবনায়। – অাপনার মাথায় সমস্যা অাপনি যান। – অাসুন তো। – কোথায়?? – অামার সাথে। – দেখুন অামার একজনের সাথে দেখা করার কথা। – লাগবেনা সেটা। – অাপনাকে অামি চিনিনা অাপনার সাথে কোথায় যাবো?? – এতক্ষন কথা বলার পরও অচেনা?? – হুমম