সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

হ্যালো! (এ কালের গল্প)

- হ্যালো।
- হ্যাঁ,  শুনছি বলো।
- এতক্ষণ লাগল আমার ফোন ধরতে! তুমি জান না আমি তোমাকে কত মিস করি। তুমি দেরি করে ফোন ধরলে আমার ভালো লাগে না।
- আররে বাবা শাওয়ারে ছিলাম তো। এমন বাচ্চাদের মত কর কেন!
- আমি তো বাচ্চাই। এই বাচ্চাটাকে একটু আদর করে দাও না। একটা পাপ্পি দাও না প্লিজ।
- আমি এখন ফোন রাখছি।
- এই না না। রেখ না প্লিজ। আর একটু কথা বলি!
- আচ্ছা বল।
- আচ্ছা তুমি এত সুন্দর কেন? শাওয়ারের পর তোমাকে নিশ্চয় আরও অনেক সুন্দর লাগছে। ভেজা কাপড়ে মেয়েদের আমার অনেক ভালো লাগে। কেমন যেন প্রতিমা প্রতিমা মনে হয়।
- তা তো ভাল লাগবেই! ভেজা কাপড়ে তো আরও অনেক কিছু দেখা যায়! তোমরা ছেলেরা না সব ওই একটা বিষয় ছাড়া আর কিছুই ভাবতে পার না!
- ছিঃ ছিঃ আমি কি তাই বলেছি নাকি! তুমি এত দিনেও আমাকে চিনতে পারলে না। আমি তোমাকে এত ভালোবাসি। আর তুমি কিনা...আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। আমার ভাল লাগছে না। তুমি আমাকে এত কষ্ট কেন দাও!
- উহ! আবার শুরু হল। সরি বাবা সরি।
- তাহলে প্রমিজ কর আমার সাথে আর এভাবে কোথা বলবে না।
- তাহলে কোনভাবে বলব?
- তুমি আমার সাথে এমন কর কেন! আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি। তুমি জানো আমি নিজেকেও এতটা ভালোবাসি না যতটা তোমাকে ভালবাসি।
- হুম। ঠিক আছে।
- কি বিশ্বাস করলে না। আমার প্রতিটা মুহূর্ত কাটে তোমাকে ভেবে। তোমার কণ্ঠ না শুনলে আমার এক সেকেন্ডও ভাল কাটে না। তোমাকে না দেখে আমি থাকতে পারি না।
- আচ্ছা বুঝলাম। এখন ফোনটা রাখো। একটু পরেই তো আমরা মিট করছি!
- ও জানু একটা কথা ছিল।
- বল।
- অইজে আমার এক ফ্রেন্ড রাশেদের কোথা বলেছিলাম না।
- হ্যাঁ, তার কি হয়েছে!
- না তার কিছু হইনি। বলছিলাম কি ওর বাসায় আজকে কেউ নেই। আমাদের বিয়ের পরে কেমন সাইজের বাসা নিব তা আজকে ওর বাসায় গিয়ে দেখলে হয় না! ও চাবি আমাকে দিয়ে দিয়েছে।
- হারামজাদা ফোন রাখ।
.
লিখাঃ Asadur Rahman Hadi.

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

চিরসত্য

"আজ তুমি যাকে যেভাবে কষ্ট দিচ্ছো, ঠকাচ্ছো, অবহেলা করছো, ইমোশন নিয়ে খেলতেছো, প্রতারণা করছো। ভেবো না যে তুমি পার পেয়ে যাবে। অতটা সোজা মনে করো না। হঠাৎ কোন একদিন আসবে যেদিন তুমি ঠিক একই ভাবে কারোর দ্বারা কষ্ট পাবে, ঠকে যাবে, অবহেলিত হবে, প্রতারিত হবে। আর সেই দিনটা খুব বেশি দূরে নয়... অপেক্ষায় থেকো!! . জানো তো এই পৃথিবীটা কিন্তু গোল। এখানে তুমি যা করবে, যে অন্যায় করবে, যে পাপ করবে, তা ঠিক ঘুরেফিরে কোন একদিন তোমার কাছে চলে আসবেই। আসতে বাধ্য... তোমার কারণে যদি কারোর চোখ থেকে এই ফোটা পানিও পড়ে যায়, অপেক্ষায় থাকো কেউ একজন তোমার চোখ থেকে শত শত ফোটা পানি পড়ার কারণ হবে!! . দিনের পর দিন যার সাথে ভালোবাসার মিথ্যে অভিনয় করে আসতেছো। একটু একটু করে একটা মানুষের বিশ্বাস নিয়ে মন মতো খেলতেছো। অথচ ও পাশের মানুষটা তোমার ছলনা কিছুই বুঝতে পারেনি, তাই বলে ভেবো না তুমি জিতে গেছো। অপেক্ষা করো একই ভাবে কেউ না কেউ তোমার ভালোবাসা নিয়ে মিথ্যে অভিনয় করে যাবে, তোমার বিশ্বাস নিয়ে খেলবে!! . আমি নিজেও এটা খেয়াল করেছি।  যদি কখনো কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করেছি তো অন্য কোন দিন কেউ একজন তারচেয়েও বেশি খারাপ ব্যবহ

★মিষ্টি ঝগড়া★

- তোমার তো এখানে বসে থাকার কথা ছিলনা!! তবে এখানে কেন বসে আছো? হাদী কে শাসানোর মতো করে কথা গুলো বলতে থাকে অধরা। পাক্কা ১৫ মিনিট ধরে পুরো পার্ক তন্ন তন্ন করে হাদী কে খুজেছে অধরা। দু'জনের দেখা করার কথা ছিলো পার্কের অন্য কোনায় যেখানে অনেক গুলো ফুল গাছ আছে। লাল রঙের ফুল অধরার খুব পছন্দ। হাদী অধরা কে সবসময় লাল রঙের ফুল দিয়েই প্রপোজ করে। পার্কে আসলে যখনই অধরার অভিমান হয় তখন-ই গাছ থেকে একটা লাল ফুল এনে অধরাকে দেয়। আজ সে ধরনের কোনো সুযোগ নেই। অধরার দিকে না তাকিয়েই হাদী জবাব দিতে থাকে। - এখানে অনেক ঘাস আছে তাই বসে আছি। - তুমি কি ছাগল যে ঘাস দেখে বসতে হবে? -আমি ঘাস দেখে বসিনি, ঘাসের উপর বসে আছি। চাইলে তুমিও বসতে পার। - আমি তোমার মত ছাগল না। -আমি জানি তুমি ছাগল না। ছাগলের স্ত্রী লিঙ্গ ছাগী। - কি আমাকে তুমি ছাগী বললে!!!!???? -এখনো বলিনি, তবে ছাগলের বউ ছাগীই হয়। - আমি তোমার বউ না। - আমি তো বলিনি তুমি আমার বউ। - এতো কথা প্যাঁচাও ক্যান? তুমি একটা রামছাগল। - রামছাগলের দাড়ি থাকে। আমি একদম ক্লিন শেভ। - ওহ অসহ্য!!! কেনো যে তোমার মত ইডিয়েটের সাথে প্রেম করি? - আমরা প্রেম করছি না। আমরা

♥ঝগড়াটে মিষ্টি বউ♥

– এই যে মিস্টার বাদাম . কথাটা শুনে বন্ধ মুখ টা হা হয়ে গেলো। পার্কের টুলে বসে বসে বাদাম খাচ্ছি। এমন সময় মেয়েলী কন্ঠে এমন ডাক। এটা নিশ্চই কল্পনার বাইরে। . – এই আমার নাম আছে। আর আপনি অাগন্তুক কোথা থেকে এসে আমাকে মিস্টার বাদাম বলছেন?? – অামি অাপনার নাম জানি না তাই বাদাম খাচ্ছেন দেখে ওটা বললাম। – মাথায় সমস্যা??? – থাকতেও পারে। – ওই অাপনি অামাকে পাগল ভাবছেন?? – হতেও তো পারেন। – অাপনাকে অাপনাকে – কি?? – অামার মাথা। – তো এটা বলতে এরকম করা লাগে?? – ওহহ এই অাপনি কে?? – এতক্ষন যার সাথে ঝগড়া করছেন. – ও মোর খোদা অামারে উঠাই নাও না ক্যান। – দাড়ি বা মই কিছু তো খোদায় দিলো না উঠবেন কি করে?? – অাপনি কি পাবনা থেকে এসেছেন?? – মরতে যাবো পাবনা?? – তো অামাকে মারতে অাসছেন কেন?? – মারতে অাসলে তো সেই কখন মেরে ফেলতাম। – তো কেন এসেছেন?? – অাপনাকে নিতে। – কোথায়?? – পাবনায়। – অাপনার মাথায় সমস্যা অাপনি যান। – অাসুন তো। – কোথায়?? – অামার সাথে। – দেখুন অামার একজনের সাথে দেখা করার কথা। – লাগবেনা সেটা। – অাপনাকে অামি চিনিনা অাপনার সাথে কোথায় যাবো?? – এতক্ষন কথা বলার পরও অচেনা?? – হুমম