আজ আমি অন্যরকম কিছু শেয়ার করতে চাই। আজ আমি আপনাদের বলবো কিভাবে একটা মেয়েকে খুন করতে হয়! জ্বি হ্যাঁ খুন! আপনি ঠিকই শুনেছেন, I'm talking about murder! যেভাবে খুন করলে কোনো পুলিশী ঝামেলা হবেনা, আপনার নামে কোনো মামলাও হবেনা থানায়। আর মজার বিষয়টি হচ্ছে, খুন করার সময় মেয়েটি মানে যেই মেয়েকে আপনি খুন করবেন, সে আপনার হাত থেকে বাঁচাতে কোনো প্রকার চেষ্টাও করবে না। উহু ভয় নেই, আপনি খুনি নামেও পরিচিত হবেন না। সো দেখে নিন কিভাবে একটা মেয়েকে ঠান্ডা মাথায় খুন করতে হয়।
.
At first, you have to know about her. যাকে আপনি খুন করতে চান তার সম্পর্কে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে। যেমন ধরুন সে কি খেতে ভালোবাসে, তার পছন্দের রঙটা আসলে কি, সে কখন কি করতে পছন্দ করে ইত্যাদি। কি বললেন? খুন করতে হলে এসবের কি প্রয়োজন? খুন সহজেই করতে পারবেন? এইতো আপনি নিজের বোকামীর পরিচয় দিলেন! আরে প্রথমে তো ইম্প্রেস করতে হবে, তারপর আপনার খুনাখুনি। তার আগে, মেয়েটির সাথে বন্ধুত্ব করবেন। শুনুন, ছেলেদের একটা বদ অভ্যাস আছে, মানে নম্বর চাওয়া! ভুলেও এই ছ্যাচরামিটা করবেন না। বন্ধুত্বকে দিনদিন গভীরে নিতে চেষ্টা করবেন, আপনি থেকে তুমি, তুমি থেকে তুই। কিন্তু, তুমি করে বলাটাই বেশি ভালো।
যাই হোক, মূল কথায় আসা যাক। বন্ধুত্বের পর ধীরে ধীরে আপনি মেয়েটির সম্পর্কে জানতে চাইবেন। যেমন ধরুন, তার মন খারাপ থাকলে সে কি করতে পছন্দ করে। আমি যতদূর জানি, তারা মন মরা অবস্থায় থাকলে গান শুনতেই বেশি পছন্দ করে। তো কখনো যদি বুঝতে পারেন যে তার মন খারাপ, অবশ্যই গান শুরু করবেন। তবে উলালা, লুঙ্গি ডান্স, ঝিংকুনাকির এসব গান থেকে দূরে থাকবেন। সোফ্ট রোমান্টিক গান শুনাতে চাইবেন। যদি ব্যাপার মেসেজে হয়, তাহলে নিজের কন্ঠে একটি সোফ্ট রোমান্টিক গান গাইবেন, তারপর Send to her! তবে হে পুরুষ! একটা বিষয়ে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন, আপনার সুমধুর কন্ঠটি যদি কাকের মতো হয়, তবে বালিকা আপনাকে থাপড়াতে থাপড়াতে বিদায় করবে!
.
ঠিক আছে, এবার দ্বিতীয় কৌশলে আসি। তার সাথে কথা বলার সময়, আপনি তার চোখ জোড়ার দিকে চেয়ে কথা বলবেন। ভালো কোনো বডি স্প্রে ব্যাবহার করবেন। কারণ, বেশির ভাগ ছেলেদের গায়ে ঘামের গন্ধে মাছিও ইন্তেকাল করে! যা মেয়েদের মোটেও পছন্দ নয়। অতিরিক্ত স্টাইল/ভাব দেখিয়ে চলবেন না। শার্টের সবকটি বোতাম ঠিকঠাক ভাবে লাগাবেন। গুন্ডার মতো এক দুইটা খোলা রাখবেন না। একটু হাবলু হয়ে চললে ভালো। তবে এতবেশি হাবলু হতে যাবেন না, যাতে কিনা লোকে আপনার বাবাকে বলে, "সাহেব আপনার ছেলেটাকে প্রতিবন্ধী স্কুলে ভর্তি করুন!" আপনি এমন সব আচরণ করবেন যাতে করে মেয়েটির যেন আপনাকে দেখে হাসি পায়, মনে রাখবেন, আমি কিন্তু একটি মেয়েকে খুন করার ব্যাপারে বলছি। একটু ভদ্রভাবে চলবেন, ছেঁড়া পায়ের প্যান্ট মানে নতুন স্টাইল, সেসব পড়বেন না। আরেকটি কথা, সে নতুন কোনো ড্রেস পড়লে তার প্রশংসা অবশ্যই করবেন। তবে ভুলেও কখনো জিজ্ঞেস করবেন না যে তার বয়ফ্রেন্ড আছে কিনা। বন্ধুত্ব গভীর হলে সে নিজেই মুখ খুলবে। বন্ধুত্ব গভীর হওয়ার পরও যদি না বলে, তবে আপনি ঠান্ডা মাথায় নরম সুরে জিজ্ঞেস করবেন, "আচ্ছা, তুমি প্রেম করোনা?" আমি যেভাবে বলেছি, ঠিক সেভাবেই বলবেন। এক পর্যায়ে আপনি তার জানতে চাইবেন, আপনাকে কোন পোষাকে ভালো মানায়। সে যেটা পছন্দ করবে, তার সাথে দেখা করতে হলে সেটাই পড়ে যাবেন। তবে হ্যাঁ, খেয়াল রাখবেন যেন কাপড়টা ময়লা না হয়। ফরসা চেহারা মেয়েরা পছন্দ করে, এই বাণীটি একদমই মিথ্যা। তিন ভাগের দু ভাগ মেয়েই পছন্দ করে শ্যামলা অথবা উজ্জ্বল শ্যামলা ছেলেদের। একদম ফরসা চেহারা ছেলেদের জন্য বেমানান। তাই কখনোই নিজের গায়ের রঙ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন না। বাইক নিয়ে কম চলবেন, বাইক নিয়ে যেখানে সেখানে যাওয়াটা এক্সট্রা ভাব। যা প্রতারক মেয়েরা ছাড়া ভালো কোনো মেয়ে পছন্দ করেনা। এবং সানগ্লাস কম পড়বেন। অনেকেই আছে সানগ্লাস পড়ে নিজেকে ভাবে হিরো, কিন্তু সে তো জানেনা তাকে যে লাগে অন্ধ! ঘড়ি ছাড়া আজেবাজে কিছু হাতে পড়বেন না।
.
এভাবেই চলতে থাকলে একদিন সে আপনার খুনের ফাঁদে পা দিবে। সেটা আপনি তার চোখ ও কথাবার্তায় টের পাবেন। এখন হয়তো আপদি ভাবছেন মেয়েদের ভালোবেসে ছেলেরা ঠোকে! মোটেও না, সব মেয়ে এক নয়। আমি আগেই বলেছি, প্রতারক মেয়েরা স্পিডে বাইক চালানো পছন্দ করে। যা থেকে আপনি বিরত থাকবেন। অধিকাংশ ছেলেরাই বলে যে মেয়েদের মন বুঝা মুশকিল। তবে আমি বলি, মেয়েদের মন বুঝাটা অতি সহজ কাজ। কারণ প্রতারক মেয়েরা আপনার কাছে গিফট চাইবে, এটা চাইবে, ওটা চাইবে। তারপর আপনি বাধ্য হয়ে দিলেন, তখন বলবে কম হয়েছে! কিন্তু ভালো কোনো মেয়ে আপনার কাছে কখনোই কিছু চাইবে না। বরং আপনি নিজ ইচ্ছায় কিছু দিলেই অনেক খুশি। খুনের ফাঁদে তো পা দিয়েই দিল, এবার হচ্ছে খুন করার সময়! কোনো নিরিবিলি চুপচাপ জায়গায় তাকে আসতে বলবেন। সে আসলো আপনার সামনে। আপনি হাত পেছনে নিয়ে খুন করার অস্ত্রটি লুকিয়ে রাখবেন। সে বলবে, "কেন ডেকেছো?" আপনি চুপচাপ তার সামনে গিয়ে অস্ত্রটি সামনে ধরেই খুন করে ফেলবেন! মানে ফুল নিয়ে প্রপোজ। খুব গুছিয়ে প্রপোজ করবেন। তবে হাটু গেড়ে বসে নয়, এটা অবার রোমান্টিক হয়ে যায়। আমার দেওয়া টিপসগুলোতে যদি কাজ হয়ে, তবে অবশ্যই সে আপনার হাতে খুন হয়েছে! Well done, আপনি খুন করতে পেরেছে! খুন তো করেই ফেললেন, লাশ তো লুকিয়ে রাখতে হবে। তবে খুন যেহেতু আপনি করেছেন, সেহেতু আপনার ঘরেই লাশ লুকাবেন! জানতে চাইবেন তার কিসের চাকরি অথবা কাজ পছন্দ। সে তার উত্তর দিবে। তারপর তার মন মতো নিজেকে গড়ে তুলুন। অবশেষে তাকে বিয়ে করে ঘরে তুলবেন। সেটিই হচ্ছে নিজের ঘরে লাশ লুকানো!
.
তবে হ্যাঁ, একটা কথা মাথায় রাখবেন। যদি আপনি কোনো মেয়ের প্রতি দুর্বল অনুভব করেন, তবে সেই মেয়েকেই এভাবে খুন করবেন। অযথা মজা নিবেন না, লুচ্ছামি করবেন না। খুন করলে অবশ্যই নিজের ঘরে লুকাবেন, নয়তো খুন করার কোনো প্রয়োজন নেই। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
.
লিখাঃ Asadur Rahman Hadi.
"আজ তুমি যাকে যেভাবে কষ্ট দিচ্ছো, ঠকাচ্ছো, অবহেলা করছো, ইমোশন নিয়ে খেলতেছো, প্রতারণা করছো। ভেবো না যে তুমি পার পেয়ে যাবে। অতটা সোজা মনে করো না। হঠাৎ কোন একদিন আসবে যেদিন তুমি ঠিক একই ভাবে কারোর দ্বারা কষ্ট পাবে, ঠকে যাবে, অবহেলিত হবে, প্রতারিত হবে। আর সেই দিনটা খুব বেশি দূরে নয়... অপেক্ষায় থেকো!! . জানো তো এই পৃথিবীটা কিন্তু গোল। এখানে তুমি যা করবে, যে অন্যায় করবে, যে পাপ করবে, তা ঠিক ঘুরেফিরে কোন একদিন তোমার কাছে চলে আসবেই। আসতে বাধ্য... তোমার কারণে যদি কারোর চোখ থেকে এই ফোটা পানিও পড়ে যায়, অপেক্ষায় থাকো কেউ একজন তোমার চোখ থেকে শত শত ফোটা পানি পড়ার কারণ হবে!! . দিনের পর দিন যার সাথে ভালোবাসার মিথ্যে অভিনয় করে আসতেছো। একটু একটু করে একটা মানুষের বিশ্বাস নিয়ে মন মতো খেলতেছো। অথচ ও পাশের মানুষটা তোমার ছলনা কিছুই বুঝতে পারেনি, তাই বলে ভেবো না তুমি জিতে গেছো। অপেক্ষা করো একই ভাবে কেউ না কেউ তোমার ভালোবাসা নিয়ে মিথ্যে অভিনয় করে যাবে, তোমার বিশ্বাস নিয়ে খেলবে!! . আমি নিজেও এটা খেয়াল করেছি। যদি কখনো কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করেছি তো অন্য কোন দিন কেউ একজন তারচেয়েও বেশি খারাপ ব্যবহ