সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ছেলে এবং মেয়ের বৈশিষ্ট গুলি পর্যালোচনা করতে গিয়ে যা জানলাম।

☆ ছেলেরা চুপ করে থাকা মানে তাদের বলার আর কিছুই নেই। মেয়েরা চুপ করে থাকা মানে মনে মনে তারা অনেক কিছু সন্দেহ করছে।
.
☆ ছেলেরা ঝগড়া করছে না মানে তাদের ঝগড়া করার মুড নেই। মেয়েরা ঝগড়া করছে না মানে আর কী নিয়ে ঝগড়া করা যায় তা গভীরভাবে ভাবছে।
.
☆ যখন ছেলেরা প্রশ্নবোধক দৃষ্টিতে মেয়েদের দিকে তাকায় তার মানে তারা কনফিউজড। মেয়েরা যখন প্রশ্নবোধক দৃষ্টিতে ছেলেদের দিকে তাকায় তার মানে_ ‘তুমি কখন যাচ্ছ?’
.
☆ ‘আমি ঠিক আছি’_ এ কথাটা ছেলেরা বলা মানে তারা আসলেই ঠিক আছে। আর মেয়েরা এ কথাটা বলার মানে সংসারে তুমুল ঝড়ের পূর্বাভাস।
.
☆ ছেলেরা অবাক চোখে মেয়েদের দিকে তাকানো মানে তারা মুগ্ধ হয়েছে। মেয়েরা অবাক চোখে ছেলেদের দিকে তাকানো মানে তারা ছেলেদের বিশ্বাস করছে না।
.
☆ ছেলেরা যখন রোমান্টিক মুডে থাকে তখন সে মনে মনে কামনা করে, যেন এভাবেই সে সারাজীবন মেয়েটার পাশে থাকতে পারে। মেয়েরা রোমান্টিক মুডে ভাবে, ছেলেটা যেন সারাজীবন তার থাকে।
.
☆ ছেলেরা যখন মেয়েদের মেসেজ পাঠায় তখন অন্যের মেসেজটা কেবলমাত্র ফরোয়ার্ড করে। মেয়েরা অনেক ভেবে-চিন্তে মেসেজ পাঠায় আর প্রতিটি মেসেজের উত্তর আশা করে ছেলেদের কাছ থেকে।
.
☆ ছেলেরা যখন বলে ‘আই লাভ ইউ’, তার মানে কথাটা সে প্রথমবার বলছে না। মেয়েরা যখন বলে ‘আই লাভ ইউ’, তার মানে মন থেকেই কথাটা সে বলছে।
.
☆ ছেলেরা যখন বলে ‘আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচবো না’, তার মানে মেয়েটার সঙ্গে অন্তত দু’বছর সে সম্পর্কটা রাখবে। মেয়েরা যখন বলে ‘আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচবো না’, তখন সে ছেলেটাকে তার ভবিষ্যৎ জীবনসঙ্গী হিসেবে ভেবে ফেলেছে।
.
☆ ছেলেরা যখন বলে ‘আই মিস ইউ’, সেটা হচ্ছে তাদের বহুল ব্যবহৃত বাক্য। কোনো মেয়ে যখন কোনো ছেলেকে বলে ‘আই মিস ইউ’, তার মানে সে ছাড়া ছেলেটাকে আর কারও মিস করার কোনো অধিকার নেই।
.
☆ ছেলেদের যখন বলা হয় নতুন গাড়ি কিনেছি, তারা জিজ্ঞেস করবে ‘ব্র্যান্ডের নাম কী?’ মেয়েরা জানতে চাইবে, ‘গাড়ির রঙ কী?’
.
☆ ছেলেদের কাছে যখন কোথাও যাওয়ার রাস্তা জানতে চান তারা রাস্তাটা দেখিয়ে দেবে বিভিন্ন অফিসের অবস্থান দিয়ে। আর মেয়েরা রাস্তাটা দেখিয়ে দেবে বিভিন্ন শপিং মলের অবস্থান দিয়ে।
.
☆ ছেলেদের কাছে কোনো কিছুর ব্যাখ্যা চাইলে তারা এক বাক্যে উত্তর দেবে। মেয়েদের কাছে যদি জানতে চান, ‘তোমার দেশের রাজধানীর নাম কী?’ তাহলে একটা পুরো প্যারাগ্রাফ পড়ার জন্য তৈরি হয়ে যান।
.
☆ ছেলেরা প্রয়োজনীয় কথা সারার জন্য ফোন ব্যবহার করে। মেয়েরা বান্ধবীর সঙ্গে সারাদিন কাটিয়ে ঘরে আসে, রাতে আবার কয়েক ঘণ্টা ফোনে সেই একই বান্ধবীর সঙ্গে গল্প করে।
.
☆ পথে চলার সময় ছেলেরা যতগুলো মেয়ের দিকে তাকিয়ে ‘হাই’ বলে, তার শতকরা একভাগ উত্তর পায়। মেয়েরা পায় একশ ভাগ উত্তর।
.
☆ মেয়েদের যদি বলেন, ‘আমি চাঁদ থেকে ঘুরে এলাম’; তারা বলবে ‘কার সঙ্গে গিয়েছিলে?’ একই ক্ষেত্রে ছেলেরা জানতে চাইবে, ‘দোস্ত, ওখানকার মেয়েগুলো কেমন রে?’
.
☆ বেশির ভাগ ছেলের রোমান্টিক সম্পর্কটা বিয়ের আগেই শেষ হয়ে যায়, কেবল গার্লফ্রেন্ডের নামটা থেকে যায় ছেলেদের ই-মেইল পাসওয়ার্ড হিসেবে। মেয়েদের ক্ষেত্রেও রোমান্টিক সম্পর্কটা বিয়ের আগেই শেষ হয়, তবে বয়ফ্রেন্ডের নামটা থেকে যায় হৃদয়ে।
.
☆ ছেলেরা নিজেদের মধ্যে রাজনীতি, খেলা, চাকরি, গাড়ি, গেজেট নিয়ে গল্প করে। মেয়েরা নিজেদের মধ্যে গল্প করে এমন একটা রান্না নিয়ে যেটা এখনও তারা রাঁধেনি, এমন একটা গয়না নিয়ে যেটা এখনও তারা কেনেনি, এমন একটা পোশাক নিয়ে যেটা এখনও তারা পরেনি এবং এমন সব টিভি সিরিয়াল নিয়ে যেগুলো দেখে ইতিমধ্যে তারা অনেক সময় নষ্ট করে ফেলেছে।
.
☆ নতুন পোশাক পরার জন্য মেয়েদের কোনো উপলক্ষ লাগে না। রেস্টুরেন্টে খেতে যাওয়া থেকে শুরু করে লন্ড্রিতে যাওয়া, ফটোকপি করতে যাওয়া থেকে শুরু করে বৃষ্টির মধ্যে গাছে পানি দিতে যাওয়া_ যে কোনো উপলক্ষে তারা নতুন পোশাক পরে। নতুন পোশাক পরার জন্য ছেলেদের কেবল দুটি উপলক্ষ দরকার, নিজের বিয়ে এবং এক্স গার্লফ্রেন্ডের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়া।
.
☆ ‘কখন প্রেমে পড়েছো’_ এটা যদি জানতে চান মেয়েরা দিন, তারিখ, সময় এমনকি কোন পোশাক পরা ছিল তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা দেবে । একই প্রশ্নের জবাবে ছেলেরা একটু মাথা চুলকাবে, তারপর বলবে, ‘এক্সকিউজ মি।’
.
লিখাঃ Asadur Rahman Hadi.

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

চিরসত্য

"আজ তুমি যাকে যেভাবে কষ্ট দিচ্ছো, ঠকাচ্ছো, অবহেলা করছো, ইমোশন নিয়ে খেলতেছো, প্রতারণা করছো। ভেবো না যে তুমি পার পেয়ে যাবে। অতটা সোজা মনে করো না। হঠাৎ কোন একদিন আসবে যেদিন তুমি ঠিক একই ভাবে কারোর দ্বারা কষ্ট পাবে, ঠকে যাবে, অবহেলিত হবে, প্রতারিত হবে। আর সেই দিনটা খুব বেশি দূরে নয়... অপেক্ষায় থেকো!! . জানো তো এই পৃথিবীটা কিন্তু গোল। এখানে তুমি যা করবে, যে অন্যায় করবে, যে পাপ করবে, তা ঠিক ঘুরেফিরে কোন একদিন তোমার কাছে চলে আসবেই। আসতে বাধ্য... তোমার কারণে যদি কারোর চোখ থেকে এই ফোটা পানিও পড়ে যায়, অপেক্ষায় থাকো কেউ একজন তোমার চোখ থেকে শত শত ফোটা পানি পড়ার কারণ হবে!! . দিনের পর দিন যার সাথে ভালোবাসার মিথ্যে অভিনয় করে আসতেছো। একটু একটু করে একটা মানুষের বিশ্বাস নিয়ে মন মতো খেলতেছো। অথচ ও পাশের মানুষটা তোমার ছলনা কিছুই বুঝতে পারেনি, তাই বলে ভেবো না তুমি জিতে গেছো। অপেক্ষা করো একই ভাবে কেউ না কেউ তোমার ভালোবাসা নিয়ে মিথ্যে অভিনয় করে যাবে, তোমার বিশ্বাস নিয়ে খেলবে!! . আমি নিজেও এটা খেয়াল করেছি।  যদি কখনো কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করেছি তো অন্য কোন দিন কেউ একজন তারচেয়েও বেশি খারাপ ব্যবহ

★মিষ্টি ঝগড়া★

- তোমার তো এখানে বসে থাকার কথা ছিলনা!! তবে এখানে কেন বসে আছো? হাদী কে শাসানোর মতো করে কথা গুলো বলতে থাকে অধরা। পাক্কা ১৫ মিনিট ধরে পুরো পার্ক তন্ন তন্ন করে হাদী কে খুজেছে অধরা। দু'জনের দেখা করার কথা ছিলো পার্কের অন্য কোনায় যেখানে অনেক গুলো ফুল গাছ আছে। লাল রঙের ফুল অধরার খুব পছন্দ। হাদী অধরা কে সবসময় লাল রঙের ফুল দিয়েই প্রপোজ করে। পার্কে আসলে যখনই অধরার অভিমান হয় তখন-ই গাছ থেকে একটা লাল ফুল এনে অধরাকে দেয়। আজ সে ধরনের কোনো সুযোগ নেই। অধরার দিকে না তাকিয়েই হাদী জবাব দিতে থাকে। - এখানে অনেক ঘাস আছে তাই বসে আছি। - তুমি কি ছাগল যে ঘাস দেখে বসতে হবে? -আমি ঘাস দেখে বসিনি, ঘাসের উপর বসে আছি। চাইলে তুমিও বসতে পার। - আমি তোমার মত ছাগল না। -আমি জানি তুমি ছাগল না। ছাগলের স্ত্রী লিঙ্গ ছাগী। - কি আমাকে তুমি ছাগী বললে!!!!???? -এখনো বলিনি, তবে ছাগলের বউ ছাগীই হয়। - আমি তোমার বউ না। - আমি তো বলিনি তুমি আমার বউ। - এতো কথা প্যাঁচাও ক্যান? তুমি একটা রামছাগল। - রামছাগলের দাড়ি থাকে। আমি একদম ক্লিন শেভ। - ওহ অসহ্য!!! কেনো যে তোমার মত ইডিয়েটের সাথে প্রেম করি? - আমরা প্রেম করছি না। আমরা

♥ঝগড়াটে মিষ্টি বউ♥

– এই যে মিস্টার বাদাম . কথাটা শুনে বন্ধ মুখ টা হা হয়ে গেলো। পার্কের টুলে বসে বসে বাদাম খাচ্ছি। এমন সময় মেয়েলী কন্ঠে এমন ডাক। এটা নিশ্চই কল্পনার বাইরে। . – এই আমার নাম আছে। আর আপনি অাগন্তুক কোথা থেকে এসে আমাকে মিস্টার বাদাম বলছেন?? – অামি অাপনার নাম জানি না তাই বাদাম খাচ্ছেন দেখে ওটা বললাম। – মাথায় সমস্যা??? – থাকতেও পারে। – ওই অাপনি অামাকে পাগল ভাবছেন?? – হতেও তো পারেন। – অাপনাকে অাপনাকে – কি?? – অামার মাথা। – তো এটা বলতে এরকম করা লাগে?? – ওহহ এই অাপনি কে?? – এতক্ষন যার সাথে ঝগড়া করছেন. – ও মোর খোদা অামারে উঠাই নাও না ক্যান। – দাড়ি বা মই কিছু তো খোদায় দিলো না উঠবেন কি করে?? – অাপনি কি পাবনা থেকে এসেছেন?? – মরতে যাবো পাবনা?? – তো অামাকে মারতে অাসছেন কেন?? – মারতে অাসলে তো সেই কখন মেরে ফেলতাম। – তো কেন এসেছেন?? – অাপনাকে নিতে। – কোথায়?? – পাবনায়। – অাপনার মাথায় সমস্যা অাপনি যান। – অাসুন তো। – কোথায়?? – অামার সাথে। – দেখুন অামার একজনের সাথে দেখা করার কথা। – লাগবেনা সেটা। – অাপনাকে অামি চিনিনা অাপনার সাথে কোথায় যাবো?? – এতক্ষন কথা বলার পরও অচেনা?? – হুমম