সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

★মিষ্টি ভালোবাসা★

.
অবসর সময়ে টিভির সামনে বসে টিভি দেখছি। টিভির চ্যানেলগুলো বারবার ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখছি।
.
টিভি দেখার সময়ে হঠাৎ একজন বলে উঠলো
-এই শোনো তো।
ডাক শুনে বুঝতে পারলাম  তাহমিনা ডাকছে। রান্নাঘর থেকে এত মধুর ডাকের পিছনে নিশ্চয়-ই কারন আছে। তাই আমি পাত্তা না দিয়ে আবার টিভি দেখায় মন দিলাম।
.
কিছুক্ষণ পরে আবার রান্নাঘর থেকে শব্দ এল
-ওগো এদিকে আসো তো।
আমি বেশি মধুর সুরের লক্ষন দেখে টিভির সাউন্ড আরো বাড়িয়ে দিলাম।
.
কিছুক্ষণ পরে টিভি বন্ধ হয়ে গেল। তারমানে বুঝতে পারলাম তাহমিনা টিভি বন্ধ করে দিয়েছে। তাই আমি এমনিতেই বসে থাকলাম।
.
তাহমিনা আমার কাছে এসে বলল
-এই তোমাকে এতক্ষণ ধরে ডাকছি শুনতে পাচ্ছ না?
-টিভির সাউন্ড বেশি ছিল তো।
-এত সাউন্ড দিয়ে টিভি দেখতে হবে কেন? সাউন্ড কমিয়ে দেখতে পারো না।
-সবকিছু অল্প সাউন্ড এ দেখা যায় না।
-আচ্ছা হয়েছে। এখন আমার সাথে আসো।
-কোথায়?
-আসো তো আমার সাথে।
.
রাজি না থাকায় হাতধরে টানতে টানতে রান্না ঘরে নিয়ে এল। আমি এই দেখে বললাম
-কি ব্যাপার। আমাকে রান্না ঘরে নিয়ে আসলে কেন?
-কাজ আছে।
-মানে!! আমাকে এখন তোমার সাথে রান্না করতে হবে?
-এই তুমি এত বেশি বোঝ কেন? আমি কি তোমাকে রান্না করার জন্য এখানে এনেছি নাকি?
-তাহলে?
-তুমি আমার কাছে থাকবে। আর আমি রান্না করব।
-রান্না করার সাথে আমার কাছে থাকার কি সম্পর্ক?
-একা একা ভাল লাগছে না। তাই আমার লক্ষি  স্বামীটাকে আমার কাছে থাকতে বলছি।
-কতটা লক্ষি একটু পরেই টের পাওয়াবো।
-কিছু বললে?
-না। কিছু না। আমি তোমার কাছে থাকছি।
.
তাহমিনা রান্না করছে আর আমি তাকিয়ে আছি তার মুখের দিকে তাকিয়ে আছি।
তাহমিনাকে বললাম
-এই আমি তোমাকে একটা চুমু খাব।
-এই কাজের সময়ে কোন দুষ্টামি না। কাজ করতে দাও।
-না চুমু খাবই।
-না। বলছি।
-আচ্ছা না।
-হ্যা।
-না।
-একবার নিষেধ করেছি বলেই রাগ করতে হবে? জানো না জোড় করে আদর করলেও মাঝেমাঝে মজা আছে।
-আচ্ছা তাহলে জোড় করেই আদর করি।
-এই না।
.
তাহমিনা এবার বলল
-আচ্ছা হয়েছে তো। এখন আমার লক্ষী স্বামীর মত আমার কাছে বসে থাকো।
-হুম।
.
আমি তাহমিনার দিকে তাকিয়ে আছি। তাহমিনা কোমড়ে শাড়ি বেধে রান্না করছে। একদম বাঙালি বউ এর মত লাগছে। আর চুলগুলো মুখে এসে পরায় তাকে আরো বেশি সুন্দর লাগছে।
.
তাই আমি তাকিয়ে আছি অপলক দৃষ্টিতে। কারন টিভি দেখার চেয়ে তাহমিনাকে দেখতেই ভাল লাগছে। তাহমিনাকে দেখতেই বেশি মনোযোগী হয়ে পরেছি।
.
লিখাঃ Asadur Rahman Hadi.

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

চিরসত্য

"আজ তুমি যাকে যেভাবে কষ্ট দিচ্ছো, ঠকাচ্ছো, অবহেলা করছো, ইমোশন নিয়ে খেলতেছো, প্রতারণা করছো। ভেবো না যে তুমি পার পেয়ে যাবে। অতটা সোজা মনে করো না। হঠাৎ কোন একদিন আসবে যেদিন তুমি ঠিক একই ভাবে কারোর দ্বারা কষ্ট পাবে, ঠকে যাবে, অবহেলিত হবে, প্রতারিত হবে। আর সেই দিনটা খুব বেশি দূরে নয়... অপেক্ষায় থেকো!! . জানো তো এই পৃথিবীটা কিন্তু গোল। এখানে তুমি যা করবে, যে অন্যায় করবে, যে পাপ করবে, তা ঠিক ঘুরেফিরে কোন একদিন তোমার কাছে চলে আসবেই। আসতে বাধ্য... তোমার কারণে যদি কারোর চোখ থেকে এই ফোটা পানিও পড়ে যায়, অপেক্ষায় থাকো কেউ একজন তোমার চোখ থেকে শত শত ফোটা পানি পড়ার কারণ হবে!! . দিনের পর দিন যার সাথে ভালোবাসার মিথ্যে অভিনয় করে আসতেছো। একটু একটু করে একটা মানুষের বিশ্বাস নিয়ে মন মতো খেলতেছো। অথচ ও পাশের মানুষটা তোমার ছলনা কিছুই বুঝতে পারেনি, তাই বলে ভেবো না তুমি জিতে গেছো। অপেক্ষা করো একই ভাবে কেউ না কেউ তোমার ভালোবাসা নিয়ে মিথ্যে অভিনয় করে যাবে, তোমার বিশ্বাস নিয়ে খেলবে!! . আমি নিজেও এটা খেয়াল করেছি।  যদি কখনো কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করেছি তো অন্য কোন দিন কেউ একজন তারচেয়েও বেশি খারাপ ব্যবহ

★মিষ্টি ঝগড়া★

- তোমার তো এখানে বসে থাকার কথা ছিলনা!! তবে এখানে কেন বসে আছো? হাদী কে শাসানোর মতো করে কথা গুলো বলতে থাকে অধরা। পাক্কা ১৫ মিনিট ধরে পুরো পার্ক তন্ন তন্ন করে হাদী কে খুজেছে অধরা। দু'জনের দেখা করার কথা ছিলো পার্কের অন্য কোনায় যেখানে অনেক গুলো ফুল গাছ আছে। লাল রঙের ফুল অধরার খুব পছন্দ। হাদী অধরা কে সবসময় লাল রঙের ফুল দিয়েই প্রপোজ করে। পার্কে আসলে যখনই অধরার অভিমান হয় তখন-ই গাছ থেকে একটা লাল ফুল এনে অধরাকে দেয়। আজ সে ধরনের কোনো সুযোগ নেই। অধরার দিকে না তাকিয়েই হাদী জবাব দিতে থাকে। - এখানে অনেক ঘাস আছে তাই বসে আছি। - তুমি কি ছাগল যে ঘাস দেখে বসতে হবে? -আমি ঘাস দেখে বসিনি, ঘাসের উপর বসে আছি। চাইলে তুমিও বসতে পার। - আমি তোমার মত ছাগল না। -আমি জানি তুমি ছাগল না। ছাগলের স্ত্রী লিঙ্গ ছাগী। - কি আমাকে তুমি ছাগী বললে!!!!???? -এখনো বলিনি, তবে ছাগলের বউ ছাগীই হয়। - আমি তোমার বউ না। - আমি তো বলিনি তুমি আমার বউ। - এতো কথা প্যাঁচাও ক্যান? তুমি একটা রামছাগল। - রামছাগলের দাড়ি থাকে। আমি একদম ক্লিন শেভ। - ওহ অসহ্য!!! কেনো যে তোমার মত ইডিয়েটের সাথে প্রেম করি? - আমরা প্রেম করছি না। আমরা

♥ঝগড়াটে মিষ্টি বউ♥

– এই যে মিস্টার বাদাম . কথাটা শুনে বন্ধ মুখ টা হা হয়ে গেলো। পার্কের টুলে বসে বসে বাদাম খাচ্ছি। এমন সময় মেয়েলী কন্ঠে এমন ডাক। এটা নিশ্চই কল্পনার বাইরে। . – এই আমার নাম আছে। আর আপনি অাগন্তুক কোথা থেকে এসে আমাকে মিস্টার বাদাম বলছেন?? – অামি অাপনার নাম জানি না তাই বাদাম খাচ্ছেন দেখে ওটা বললাম। – মাথায় সমস্যা??? – থাকতেও পারে। – ওই অাপনি অামাকে পাগল ভাবছেন?? – হতেও তো পারেন। – অাপনাকে অাপনাকে – কি?? – অামার মাথা। – তো এটা বলতে এরকম করা লাগে?? – ওহহ এই অাপনি কে?? – এতক্ষন যার সাথে ঝগড়া করছেন. – ও মোর খোদা অামারে উঠাই নাও না ক্যান। – দাড়ি বা মই কিছু তো খোদায় দিলো না উঠবেন কি করে?? – অাপনি কি পাবনা থেকে এসেছেন?? – মরতে যাবো পাবনা?? – তো অামাকে মারতে অাসছেন কেন?? – মারতে অাসলে তো সেই কখন মেরে ফেলতাম। – তো কেন এসেছেন?? – অাপনাকে নিতে। – কোথায়?? – পাবনায়। – অাপনার মাথায় সমস্যা অাপনি যান। – অাসুন তো। – কোথায়?? – অামার সাথে। – দেখুন অামার একজনের সাথে দেখা করার কথা। – লাগবেনা সেটা। – অাপনাকে অামি চিনিনা অাপনার সাথে কোথায় যাবো?? – এতক্ষন কথা বলার পরও অচেনা?? – হুমম