সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

ছোটগল্প সুইসাইড

রাগে ক্ষোভে চুপিসারে শাহেদ বাসা থেকে বের হয়ে গেল। আজ সে উদ্দেশ্যহীন, একটা চলন্ত ট্রাক বা বাসের নিচে ঝাঁপ দিয়ে সুইসাইড করবে সে। মোবাইল বেজে উঠল পকেটে। ভুল করে মোবাইল বন্ধ করেনি শাহেদ। বাসা থেকে তানিয়া ফোন করেছে। - না বলে বেড়িয়ে গেছ! কোথায় তুমি? - একটা ট্রাক বা বাসের নিচে ঝাঁপ দেব। বেশ কনফিডেন্টলি বলল শাহেদ। - ঠিক পাঁচ মিনিটের মধ্যে বাসায় না আসলে আমাকে ফ্যানের সাথে ঝুলতে দেখাবে, লাইন কেটে দিল তানিয়া। রাত সাড়ে আটটা বাজে। আশেপাশে তাকিয়ে দেখল শাহেদ, কোন রিক্সা ট্যাক্সি নেই। হেঁটে পাঁচ মিনিটের ভিতর কোন অবস্থায় বাসায় পৌঁছান সম্ভব নয়। দৌঁড় দিল শাহেদ বাসা অভিমুখে। দৌঁড়.. ..... দৌঁড়... দৌঁড়। ঠিক চার মিনিট তেত্রিশ সেকেন্ডে বাসার কলিং বেল চাপে শাহেদ।
সাম্প্রতিক পোস্টগুলি

প্রেম কত প্রকার ও কি কি??

১. প্রথম প্রেমঃ জীবনের প্রথম প্রেম সবার কাছেই স্মরনীয় হয়ে থাকে। প্রথম প্রেমের কোন নির্দিষ্ট বয়স নেই তবে অনেকের ক্ষেত্রেই খুব কম বয়সে প্রথম প্রেম এসে থাকে। প্রথম প্রেম বেশিরভাগ সময়ই আদতে প্রেম হয়না, সেটা হয়ে থাকে Infatuation। প্রথম প্রেম হতে পারে কোন বাল্য বন্ধু, হতে পারে গৃহশিক্ষক বা স্কুলের শিক্ষক বা শিক্ষিকা, হতে পারে বয়সে বড় কোন আপু, হতে পারে কোন ফিল্মের নায়ক বা নায়িকা, হতে পারে পাড়ার কোন হ্যান্ডসাম তরুনী বা বড়ভাই। কারো কারো ক্ষেত্রে আবার জীবনের প্রথম প্রেমই একমাত্র প্রেম। . ২. প্রথম দেখায় প্রেম/Love at First Site: প্রথম দেখাতেই এই ধরনের প্রেমের সূত্রপাত। এ ধরনের প্রেম অনেক ক্ষেত্রেই একতরফা হয়। ছেলেদের ক্ষেত্রে এ ধরনের প্রেম বেশি দেখা যায়। প্রথম দেখাটা হতে পারে কোন বিবাহ অনুষ্ঠানে, শপিং মল, কলেজ, ভার্সিটি, কোচিং সেন্টারে, স্যারের বাসায়, বন্ধু আড্ডায়। এমনকি বন্ধুর মোবাইলে ছবি দেখেও এ ধরনের প্রেমের শুরু হতে পারে। এ ধরনের প্রেমে প্রায় অবধারিতভাবেই তৃতীয় পক্ষের (বন্ধুকূল বা বড়ভাই) সাহায্যের দরকার পড়ে। এ ধরনের প্রেমের সূত্রপাতে রূপ সৌন্দর্য্য ও দৈহিক সৌন্দর্য্যের ভু

চিরসত্য

"আজ তুমি যাকে যেভাবে কষ্ট দিচ্ছো, ঠকাচ্ছো, অবহেলা করছো, ইমোশন নিয়ে খেলতেছো, প্রতারণা করছো। ভেবো না যে তুমি পার পেয়ে যাবে। অতটা সোজা মনে করো না। হঠাৎ কোন একদিন আসবে যেদিন তুমি ঠিক একই ভাবে কারোর দ্বারা কষ্ট পাবে, ঠকে যাবে, অবহেলিত হবে, প্রতারিত হবে। আর সেই দিনটা খুব বেশি দূরে নয়... অপেক্ষায় থেকো!! . জানো তো এই পৃথিবীটা কিন্তু গোল। এখানে তুমি যা করবে, যে অন্যায় করবে, যে পাপ করবে, তা ঠিক ঘুরেফিরে কোন একদিন তোমার কাছে চলে আসবেই। আসতে বাধ্য... তোমার কারণে যদি কারোর চোখ থেকে এই ফোটা পানিও পড়ে যায়, অপেক্ষায় থাকো কেউ একজন তোমার চোখ থেকে শত শত ফোটা পানি পড়ার কারণ হবে!! . দিনের পর দিন যার সাথে ভালোবাসার মিথ্যে অভিনয় করে আসতেছো। একটু একটু করে একটা মানুষের বিশ্বাস নিয়ে মন মতো খেলতেছো। অথচ ও পাশের মানুষটা তোমার ছলনা কিছুই বুঝতে পারেনি, তাই বলে ভেবো না তুমি জিতে গেছো। অপেক্ষা করো একই ভাবে কেউ না কেউ তোমার ভালোবাসা নিয়ে মিথ্যে অভিনয় করে যাবে, তোমার বিশ্বাস নিয়ে খেলবে!! . আমি নিজেও এটা খেয়াল করেছি।  যদি কখনো কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করেছি তো অন্য কোন দিন কেউ একজন তারচেয়েও বেশি খারাপ ব্যবহ

কিছু কথা

টিউশনির টাকা জমিয়ে যে মানুষটা আপনাকে সারপ্রাইজ দেয় কিংবা খুশি করে, সেই মানুষটা আর যাই হোক আপনার সাথে মিথ্যে ভালোবাসার অভিনয় করে না!! শত ব্যস্ততার মাঝে থেকেও যে ঠিকমতো আপনার খোঁজখবর রাখে কিংবা আপনার ফোন কখনো ব্যস্ততা দেখিয়ে কেটে দেয় না, সেই মানুষটা আর যাই করুক না কেনো আপনাকে কখনো ঠকাবে না!! যে মেয়েটা শাড়ি পড়তে চায় না অথচ আপনার পছন্দের জন্য কষ্ট করে শাড়ি পড়ে, চোখের নিচে কাজল টানে কিংবা আপনার পছন্দমতো সেজেগুজে বের হয়, বিশ্বাস করুন সেই মেয়েটার ভালোবাসার মাঝে কোনো ছলনা নেই!! যে ছেলেটা সিগারেট ছাড়া থাকতে পারতো না, সেও যদি আপনার কথায় সিগারেট ছেড়ে দেয় কিংবা অগোছালো জীবনটা গুছিয়ে নিতে চেষ্টা করে, তবে মনে রাখুন সেই ছেলেটা আপনাকে কখনো ধোকা দিবে না!! তোমার শত অপরাধ থাকার পরেও যে মানুষটা বার বার নিজে আগে সরি বলে তোমাকে জিতিয়ে দেয় শুধুমাত্র তোমার মুখের হাসির জন্য কিংবা সম্পর্কটা ঠিক রাখার জন্য, সেই মানুষটা আর যাই করুক কখনো তোমার মন ভাঙ্গবে না!! তোমার অযথা বকবকানি শুনে যে মানুষটা বিরক্ত হয় না কিংবা তোমার রাগ ভাঙাতেও যে ক্লান্ত হয় না বরং ভালোবেসেই যায়। সেই মানুষটা যাই করুক কখনো তোমার বিশ্বাসঘ

আজ বোনের বিয়ে

আমার কাছে বোন বলতে অন্য এক পৃথিবী। যার সাথে মন খুলে সব বলা যায়। মন খুলে কথা বলা যায়। ঝগড়া করা, খুনসুটি করা যায়। ভালোবাসা, মায়া-মমতা আর আহ্লাদে মুখরিত থাকা যায়। আমি আমার বোনটার সাথে সবকিছুই করি। সে আমার কাছে প্রশান্তির অন্য একরূপ। বোনটাকে আমি আমার ভালোলাগা,খারাপ লাগা; সব কথাই বলি। সেই সুবাদে সে আমার সব কিছুই জানে। সুনশান-নিস্তব্ধ  রাত। প্রচণ্ড কুয়াশায় ঢেকে আছে পৃথিবী। লো ভলিউমে কানে হেডফোন লাগিয়ে শুনছি "বৃষ্টি পড়ার রিমঝিম শব্দ" ঘুম নেই। নিঃশব্দ আর্তনাদে পূর্ণ সময়। হাহাকারে প্রতিটি নিঃশ্বাস। কতবার ভুলে যেতে চেয়েছি—"পৃথিবীর সব সম্পর্কই স্থায়ী হয় না কোনোদিন তার জন্য কেঁদে লাভ নেই" বলে প্রবোধ দিতে চেয়েছি নিজেকে, পারি নি। নাহ,পারি নি। ব্যর্থ হয়েছি বারবার।  বোনটাকে নিজের পাশে শেষবারের মত অনুভব করে ওর দিকে একটা অদ্ভুত প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলাম। আমার প্রশ্নটা শুনে সে ফুলস্টপ হয়ে গেলো। ওর জবাব না দেয়ার ব্যথাটা আমাকে আরেকটু বেশি রক্তাক্ত করলো। ও আমার গা ঘেঁষে বসলো। আমি বোনটার কাঁধে মাথা রেখে কাঁদি। জগতের সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয়স্থল ঐ কাঁধ। আমার আগেই বোঝা উচিত ছিলো। প্রত্যেক জিনিসেরই একটা

পার্থক্য

মেয়েরা সহজে কাউকে প্রোপোজ করে না, অথচ ভিতরে শুরু হওয়া কারো প্রতি ক্রাশের গল্পটা ধীরে ধীরে ভালোলাগায় বদলে যায়। সেখান উথাল পাথাল ভালোবাসার ঢেউ সৃষ্টি হয়। তবুও কি এক অদ্ভুত ক্ষমতায় সেটা তারা চেপে ধরে রাখতে পারে, গোপন করতে পারে যেকোন মূহুর্তে। কিন্তু কখনও যদি কোন মেয়ে তার নিজের সবটুকু নারীত্বের ইগো বিসর্জন দিয়ে কোন ছেলেকে প্রোপোজ করে বসে, এবং ছেলেটি যদি রিফিউজ করে, তবে এই ইহজনমেও ছেলেটিকে সে ভুলতে পারে না। ছেলেদের ক্ষেত্রে প্রোপোজ করাটা মেয়েদের মত অত জটিল কিছু না। কারো প্রতি আবেগটা ক্রাশ, ভালোলাগা নাকি সাময়িক ইনফ্রাচুয়েশন সেটা বোঝার আগেই দুমদাম প্রোপোজ করে বসে। আর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ছেলেরা প্রোপোজ করার পর রিফিউজড হয় বলে সহ্য করার একটা অভ্যাস অনেক আগে থেকেই তৈরী হয়ে যায়। তাই দুইদিন মন খারাপ করে পরেরদিন আবার ঠিকই পাশের বাড়ির রীতা কিংবা ক্লাশের স্পর্শীয়ার দিকে হৃদয়ের দিক সরিয়ে নেয়। তবে কিছু মানুষ থাকে। যাদের খুব কাছে কেউ থাকলেও বুঝতে পারে না যে তাকে ভালোবাসে কিনা, তার প্রতি একটু দম আটকানো অসহ্য অনুভূতিগুলো এক কোনায় জমা আছে কি না কারন প্রকাশ হয় না কিছুই। প্রকাশ হয় সেই কাছের মানুষটা দূরে সরে গেল

বাস্তবতা

"একটা বয়সের পর আর কারো জন্য মন থেকে পাগলামি করা কিংবা অধিকার খাটাতে ইচ্ছা করে না, যেমনটা ইচ্ছা করেছিলো প্রথম সেই হারিয়ে যাওয়া মানুষটার উপর !! এখন আর কেউ ব্যস্ততার অজুহাত দেখালে রাগ হয় না কিংবা কোনো খবর না নিলেও অভিমান হয় না। এখন আর নিত্যনতুন বাহানা কিংবা ইচ্ছা করেই ঝগড়া করতে ইচ্ছা হয় না। খুব দরকার না পড়লে জানতে ইচ্ছা করেনা কারোর সারাদিনের খবর। আগে সব আবেগের মাঝে ছিলো, এখন সব বাস্তবতায় চলে আসছে !! নির্দিষ্ট একটা সময়ের পর জীবনে অনেক কিছুই বদলে যায়। বদলে যায় মনের সব অনুভূতিও। বাস্তবতার কারণে হোক কিংবা কখনো ভুল কোনো মানুষের প্রতারণার শিকার হয়ে মানুষটা যখন জীবনের মর্মটা বুঝতে পারে, তখন থেকেই মানুষ উপলব্ধি করতে পারে নাটক কিংবা সিনেমার মতো জীবনের গল্পটা সাজানো যায় না !! প্রথম যে মানুষটার উপর একবার মন আটকে যায়, সেই মানুষটা চলে গেলে পুরো জীবনটাই বদলে যায়। পরে তার থেকে আরো যতো সুন্দর কিংবা ভালো মানুষই জীবনে আসুক না কেনো, ঐ চলে যাওয়া মানুষটার মতো অনুভূতি আর কোনো মানুষের উপর পড়ে না। আর কারো উপর মন আটকে যায় না !! জীবন তো আর কারো জন্য থেমে থাকে না, তাই একটা পর্যায় নতুন মানুষ আসে। তার মতো করেই ম